নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা। এটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে এ পৌরসভা গঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শহরের রাস্তাগুলোর অবস্থা তেমন ভাল ছিল না। প্রত্যেক ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারের অভাবে ছাল চামড়া ওঠে গেছে। কোন কোন এলাকার রাস্তা পরিণত হয়েছে বড় বড় গর্তে। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তার মাঝের গর্ত পানিতে ভরে যায়। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় চলাচলে দুর্ভোগ পেতে হয় জনসাধারণকে।
রিক্সা চালক মবদুল জানান,রাস্তায় গর্ত থাকায় বেশিদিন রিক্সার রিং টিকে না। খালে পড়লে চাকা ব্যান্ড হয়ে যায়।
ব্যাটারী চালিত ভ্যান চালক কৃষ্ণ বলেন,রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় ঝাকাঝাকিতে ব্যাটারী নষ্ট হয়ে যায়। রিং আঁকা বাঁকা হয়। কোন কোন সময় ভেঙ্গেও যায়। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকি।
অটোচালক আলম জানান, ভাঙ্গা রাস্তায় অটো নিয়ে আমরা ভয়ে থাকি। চালাতে গিয়ে কোন সময় অটো উল্টে যায়। ক্ষতি হয় যাত্রিসহ চালকের।
মোটর সাইকেল চালক আকাশ জানান, হাজামজা রাস্তায় মোটর সাইকেল চালানো কষ্টকর। তাছাড়া অটোর পিছনে থাকলে পড়তে হয় দুর্ঘটনায়।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, শহরের রাস্তাগুলোর অবস্থা আগে থেকেই সংস্কার করা হয়নি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর অনেক রাস্তার কাজ করেছি। পৌর কর্মচারীর বেতন নিয়মিত করেছি। পৌর পরিষদকে নিয়ে উন্নয়নমুলক কাজ করে যাচ্ছি। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে রাস্তার কাজ চলমান। তামান্না থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত রাস্তার কাজ দ্রুত সময়ে চালু হবে।
৬নং ওয়ার্ড নিয়ামতপুর বিসিক নৈপূন্য বিকাশ কেন্দ্রের সামন থেকে দেওয়ানি পাড়ার মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি দুই যুগের বেশি সময় ধরে চলাচলে অনুপযোগি। বিভিন্ন সময়ে মেয়র পরিবর্তন হয় কিন্তু রাস্তাটির কাজ হয় না। ফলে চলাচলে দুর্ভোগে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে ৭নং ওয়ার্ড ল্যাবজোন ল্যাব থেকে গিয়াস মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির করুন অবস্থা। এটি সংস্কার দাবি এলাকার মানুষের।
জননী স্টীল মালিকের বাড়ীর কাছ থেকে নিমবাগান মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার প্রয়োজন।
কাজীপাড়া, হাওয়ালদার পাড়া,পুরাতন মুন্সিপাড়া, নয়াবাজার,নতুন বাবুপাড়া,পুরাতন বাবুপাড়া,নিয়ামতপুর সরকার পাড়া, গোলাহাট,সাহেবপাড়া,মিস্ত্রীপাড়া,বাঁশবাড়ীসহ অনেক এলাকার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। আগত বর্যায় ওই রাস্তাগুলোর অবস্থা আরো করুণ হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। তাই পোরবাসি দ্রুত সময়ে রাস্তাগুলো সংস্কারের দাবি জানান।