বর্তমান সরকার ভোট ডাকাত দাবি করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, এই সরকার ভোট ডাকাত। এই ভোট চোর এবং ভোট ডাকাত সরকারের অধিনে কোন সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। আগামীতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে তত্তাবাধায়ক ছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেওয়া যাবেনা। যদি হয় তবে তা প্রতিহত করা হবে। এজন্য বিএনপি সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্তাবাধয়ক সরকারের অধিনে হবে। আর তা হলে বিএনপির বিপুল সংখ্যক প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হবে এবং তারা সরকার গঠন করবে। যার সবচেয়ে বড় প্রমান সদ্য সমাপ্ত গাজীপুর সিটি কর্পেরেশন নির্বাচন। সেখানে একজন গৃহবধু যিনি কখনও স্কুলেও যায়নি তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আগামীতে বিএনপি যদি গলাগাছ দারা করায় তাহলেও সেই কলাগাছও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে।
সকাল হলেই শুনবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। যারা চোর, যারা ডাকাত, যারা মানুষের সব ধরনের অধিকার লুন্ঠিত করেছে, ওরা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে? তারা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝে? তাদের চেতনা হলো দেশের গণতন্ত্র লুন্ঠিত করা। সকল অধিকার লুন্ঠিত করা। আমাদের (বিএনপির) প্রতিষ্ঠা জেনারেল জিয়াউর রহমানের চেতনা বাংলাদেশে বহু দলীয় বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অবাধ, গ্রহনযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এরই দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে। আওয়ামী লীগের চেতন হলো সুযোগ পেলে ব্যাংক লুট করা, তাদের সকল টাকা পয়সা পাঁচার করে দেওয়া। বিদেশে টাকা পাঁচার করার কারনেই হঠাৎ করেই ডলারের দাম বেড়েছে। এখন কেহ এলসি খুলতে পারছেনা। যার জন্য আজকে আদার দাম ৫শত টাকা।
শনিবার দুপুরে ঝালকাঠিতে বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তিসহ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন এর সভাপতিত্বে শহরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
জনসভার শুরুতে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা-কর্মীরা এসে জরো হয়। প্রায় ১৫ বছর পরে ঝালকাঠিতে খোলা মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হল।