১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে স্ব-পরিবারে হত্যার পর এ দেশে আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রান ত্যাগী নেতা কর্মির প্রয়োজনীয়তা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। দলের সকল দুঃসময়ে এই ত্যাগী নেতাকর্মিরা তাদের ত্যাগ ও শ্রমের বিনিময়ে দলকে উজ্জীবিত করে ক্ষমতায় আসতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে। মরহুমা খাদিজা আকতার ছিলেন তেমন একজন নিবেদিত প্রান প্রকৃত মুজিব আদর্শের ত্যাগীনেত্রী। যিনি আমৃত্যুকাল দলের বিশ্বস্থ ছিলেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার মত আদর্শবান নেতানেত্রী অনেক বেশী প্রয়োজন। আমাদের খাদিজার রাজনৈতিক আদর্শ ধারন করে দলের প্রতি শতভাগ নিবেদিত প্রান হয়ে কাজ করতে হবে।
শনিবার বিকাল ৪টায় দাকোপের চালনা পৌরসভা মিলনায়তনে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুমা খাদিজা আকতারের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশের সর্বকালের শ্রেষ্ট রাষ্টনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এদেশের অসহায় গরীব দুঃখি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে ৩৩ প্রকার ভাতা ব্যবস্থা চালু করেছেন। তিনি দেশকে ভূমিহীন মুক্ত করতে আশ্রয়ণ সকলের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করেছেন। তিনি উন্নয়নের এই ধারা অব্যহত রাখতে আগামী সংসদ নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার আহবান জানান। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের নৌকা প্রতীককে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করতে সকল বিভেদ ভূলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। দাকোপ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিজয় লক্ষী সাহার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক লিপিকা বৈরাগী ও যুবনেতা রতন কুমার মন্ডলের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক নিমাই চন্দ্র রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, খুলনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, জেলা আ'লীগনেতা শিউলি সরোয়ার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসনেয়ারা চম্পা, সাধারণ সম্পাদক নাজনীন নাহার কণা, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার জাকির হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান সোহাগ, চালনা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আ'লীগের সাবেক সহসভাপতি রনজিত কুমার মন্ডল, জয়ন্তী রানী সরদার, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল কাদের, পঞ্চানন মন্ডল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম রুহুল আমীন, মিহির মন্ডল, অসিত বরণ সাহা, দীপংকর রায়, চালনা পৌর আ'লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম আক্কেল, ইউপি চেয়ারম্যান মানস মুকুল রায়, কণিকা বৈরাগী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, কে এম কবির হোসেন, সৌদি তায়েফ আ'লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রাজ্জাক ফারাজি, ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায়, মাসুম আলী ফকির, গোলাম হোসেন শেখ, উপজেলা শ্রমিক লীগ ও প্রেসক্লাবের সভাপতি গোবিন্দ বিশ্বাস, জেলা যুবলীগনেতা আফজাল হোসেন খান, তাপস জেয়াদ্দার, মোঃ শিপন ভূঁইয়া, আজগর হোসেন ছাব্বির, স্বপন রায়, সরোজিত রায় কুঞ্জু, মীর্জা সাইফুল ইসলাম টুটুল, অধ্যাপক সুপদ রায়, জুলফিক্কার গাজী জুলু, জ্যোতি শংকর রায়, অপারাজিতা মন্ডল অপু, জি এম রেজা, অমরেশ ঢালী, উপজেলা যুবলীগনেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুম, শেখ জাহিদুর রহমান মিল্টন, শেখ মেহেদী হাসান বুলবুল, বিধান চন্দ্র বিশ্বাস, রেজাউল ইসলাম রেজা,কবিরুল ইসলাম মনা, চিশতি নাজমুল বাশার সম্রাট, মহিলা আওয়ামীলীগনেত্রী কণিকা বৈরাগী, চম্পা রায়, নাসিমা বেগম, আমোদীনি রায়, অনিতা রায়, লতিকা গোলদার, রুপালী মীর্জা, লিপিকা গোলদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল শরীফ, সাধারণ সম্পাদক লিটন সরদার, রাসেল কাজী, রাহুল রায় প্রমুখ। সভার শুরুতে মরহুমা খাদিজা আকতারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিচ নীরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে প্রধান অতিথি গরীব অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন।