গাজীপুর সিটি কপোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর রাখি সরকার বলেছেন, টাকা পয়সা নয়, মানুষ ভালোবেশে আমাকে ভোট দেয়। আমি সবসময় সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করি। আমি আমার কাজের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে যেতে পেরেছি বলে তারা আমাকে ভালোবাসে। আমার কর্মে এলাকার সাধারণ মানুষের অন্তরে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে। তাই মানুষ ভালোবাসার প্রতিদান ভোটের মাধ্যমে দেয়।
এমনই বলছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী সংরক্ষিত মহিলা (৫৫, ৫৬, ৫৭নং ওয়ার্ড, আসন-১৯) কাউন্সিলর রাখি সরকার। এর আগে তিনি পরপর দুই বার টঙ্গী পৌর সভার সংরক্ষিত মহিলা কমিশনার ছিলেন। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি চশমা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২০হাজার ৬১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রাশিদা বেগম (আনারস) প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ১০৪ ভোট।
তিনি আরও জানালেন, তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে তার বিশাল নির্বাচনী এলাকা। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রতিটি ভোটারের কাছে যেতে পারেন নি। তারপরও ভোটাররা তার উপকারের কথা মনে রাখেন। কোনো মানুষ তার কাছে কোনো কাজে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন-এমন নজির নেই। তিনি যথাসাধ্য তাদের অভাব-অভিযোগ শোনা ও সমাধানের চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে তিনি সামাজিক কাজে নিজেকে বেশি আত্মনিয়োগ করে তৃপ্তিবোধ করেন। সমাজের এতিম-অসহায় শিশুদের লেখাপড়ার জন্য পূর্ব আরিচপুর এলাকায় সাহাবুদ্দিন সরকার এতিমখানা, আমজাদ আলী সরকার গালর্স স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। এছাড়াও তার নির্বাচনী এলাকায় কোনো গরীব-দুস্থ ও অসহায় মানুষ মারা গেলে যাদেরকে গ্রামের বাড়িতে নেয়া যান না, আবার টঙ্গীর কোথাও দাফন করা সম্ভব হয় না এসমস্ত লাশ তিনি তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করে থাকেন।
প্রয়াত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন সরকারের স্ত্রী ও গাজীপুর মহানগর মহিলা লীগের সহ-সভাপতি রাখি সরকার আজীবন মানুষের সেবা করে যেতে চান।