সামান্য পরিবহনের কলারম্যান থেকে কোটিপতি বনে গেছেন বেনাপোলের ছোট আচড়া গ্রামের নাজমুল হোসেন বাপ্পী। বেনাপোলের সৌদিয়া পরিবহনের কলারম্যান বাপ্পী আন্তর্জাতিক হুন্ডি ও মাদকব্যবসায়ী বলে জেলা দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ তদন্ত করবেন জেলা দূর্নীতি কমিশন। অবৈধ এই ব্যাবসা থেকেই কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন বাপ্পী।
বেনাপোলের ছোট আচড়া গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে নাজমুল হোসেন বাপ্পী নিজ নামে বিলাসবহুল পাঁচতলা বিদেশী স্টাইলের বাড়ি নির্মান করেছেন। অথচ তার দৃশ্যমান আয় বলতে পরিবহনের কলারম্যান, যার পারিশ্রমিক প্রতিদিন ১০০ টাকা। যা পারিশ্রমিক পান তা দিয়ে দৈনন্দিন জীবন ধারণ করাই কষ্টকর। বাপ্পীর জীবন ধারা দেখলে মনে হয় সে আলাদীনের চেরাগ হাতে পেয়েছে। নিজের নামে ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অঢেল সম্পদ করেছেণ মাত্র ২ বছরে, যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। একজন পরিবহন কলারম্যান কিভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক বনে যান এ প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের। বাপ্পী প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদক দ্রব্য ও হুন্ডি টাকা পাচার করছে অবাধে। তার সাথে আন্তর্জাতিক মাফিয়াদেও যোগসুত্র রয়েছে বলে স্থানীয় মো: লাভলু হোসেন নামে একজন প্রতিবেশী জানান। তিনি আরও জানান, বাপ্পীর লাইফ স্টাইল দেখলে মনে হয় সে একজন শিল্পপতি। তাকে প্রতিনিয়ত সৌদিয়া পরিবহনে করে বিদেশী বিপুল পরিমান মদ ঢাকায় পাঠাতে দেখা যায়।
নাজমুল হোসেন বাপ্পী দাবি করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুদুকে যে অভিযোগ হয়েছে তা আমার জানা নেই। ৫ তলা বাড়ি করছি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে। তাতে দোষের কি হয়েয়ে। জেলা দুদকের উপপরিচালক আল-আমিন জানান, নাজমুল হোসেন বাপ্পির নামে একটি অভিযোগ পেয়েছি দুদকে এসেছে। তার অবৈধ সম্পদের উৎস অবশ্যই তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমানীত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যভস্থা নেয়া হবে।