পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নির্যাতিত ছয় বছরের শিশু কন্যার বিচারের জন্য সপ্তাহ ধরে স্থায়ী জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভ্যান চালক জয়নাল। তার বাড়ি তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের আজিজনগর মাথা গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায় একই গ্রামের মোঃ রশিদ এর ছেলে হারেজ আলী (৩৫) এর সংগে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক ঝগড়া বিবাদ লেগে আছে। গত ২০ মে/ ২০২৩ তারিখে বিকাল ৫.২০ টায় মাথাফাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী তার শিশু কন্যা কাজল মনি(৬) বাড়ির পাশে আম গাছের নিচে খড়ি কুড়াতে যান। এ সময় হারেজ আলী ও তার স্ত্রী মোছাঃ আয়শা শিশু কাজল মনিকে আমের ডালের লাকড়ি দ্বারা এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুত্বর আহত ও রক্তাত্ব ফুলা জখম করে। সেখান থেকে শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় ভ্যান চালক জয়নাল শালীস বিচারের জন্য প্রথমে মৌখিকভাবে স্থানীয় মেম্বার ও ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান জানান। ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করেনি। এতদিনে কন্যার মারপিটের ক্ষতও মুছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় দু’জন মহিলা ইউপি সদস্যকে সংগে নিয়ে থানায় গিয়ে ৫জনকে আসামীকে করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে একজন দারোগা তদন্তে যাবে এমন কথা বলে জয়নালের কাছে একজন ইউপি মহিলা সদস্য ১ হাজার ৫শত টাকা দাবী করলে ১ হাজার তিনশত টাকা যোগাড় করে দেন। কিন্তু ঘটনার প্রায় সপ্তাহ খানেক অতিবাহিত হলেও কোন বিচার না পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের স্মরণাপণ্য হন।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মনসুর আলীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, ভ্যান চালক জয়নালের সংগে তার ভাতিজার হারেজের পারিবারিক দ্বন্দ্ব আছে। এনিয়ে হারেজ পরিষদে বিচারের আবেদন করেছে। ওই ঘটনায় জয়নাল হাজিরা দিয়ে সময় প্রার্থনা করেছে। এ ছাড়া গত ৪/৫ দিন আগে জয়নালের শিশু কন্যার একটি মারপিটের ছবি আমাকে দেখায়েছে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে রংপুরে চিকিৎসা নিতে যাওয়ায় বিষয়টি তৎক্ষণাত শালীস মিমাংসা করতে পারিনি। যতদ্রুত সম্ভব পারিবারিক শালিসে বসে আপস নিস্পত্তি করে দেব।
এদিকে তেঁতুলিয়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখে সপ্তাহ ধরে বিচার না পাওয়ার বিষয় ও ঘটনাটি জেনে পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর অভিযোগ শুনে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করে দেবেন বলে জানান। ২৮-০৫-২০২৩ খ্রিঃ।