পাবনার সুজানগরে মাটির অভাবে মৃতশিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে বেকার হতে বসেছে উপজেলার মৃতশিল্পীরা। উপজেলার ভায়না ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান জানান, একসময় উপজেলার রাইপুর, মাছপাড়া, মানিকদীর পালপাড়া, হেমরাজপুর, সাতবাড়ীয়া, মানিকহাট, সাগরকান্দী এবং শ্যামগঞ্জসহ বিভিন্ন গ্রামে পর্যাপ্ত পাল পরিবার ছিল। সে সময় ওই সকল পরিবার তাদের তৈরী মৃতশিল্পের বাহারি বাসন-কোসন সুজানগরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরী তৈজসপত্র বাজার দখল করে নেওয়ায় এখন আর মাটির তৈরী বাসন-কোসনের তেমন চাহিদা নেই। কিন্তু তার পরও যেটুকু চাহিদা আছে মাটির অভাবে তাও পূরণ করতে পারছেন না স্থানীয় মৃতশিল্পীরা। উপজেলার মানিকদীর গ্রামের কমল কুমার পাল বলেন আগে এলাকার লোকজন পুকুর এবং চরাঞ্চলের কিছু কৃষি জমির মাটি বিক্রি করতেন। সে সময় আমারা তাদের কাছ থেকে মাটি কিনে এনে হাড়ি, গামলা, কলসি, দই তৈরীর সড়া এবং স্যানিটারী চাকাসহ বিভিন্ন ধরনের বাসন-কোসন তৈরী করতাম। কিন্তু বর্তমানে সুজানগর উপজেলা প্রশাসন এবং থানা প্রশাসন বালু ও মাটি ব্যবস্থা আইন প্রয়োগ করায় কেউ মাটি কাটতে বা বিক্রি করতে পারছেন না। এমনকি থানায় মাটি কাটা এবং বিক্রি করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেও কোন ফল হচ্ছেনা। ফলে তারা মাটির অভাবে মৃতশিল্প তৈরী করতে না পারায় বেকার হয়ে পড়ছেন। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে দিয়েছেন বলেও উপজেলার মানিকদীর গ্রামের হেমরাপুর গ্রামের রঞ্জিত পাল জানান। সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হান্নান বলেন মাটি কাটার অনুমতি দিতে পারেন জেলা প্রশাসক। কেউ অনুমতি নিয়ে এসে মাটি কাটলে কোন সমস্যা নাই। অন্যথায় বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের কবলে পড়তে হবে।