গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ঘাঘর বাজারে এক মাসের ব্যবধানে ফের অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে ঘাঘর বাজারের বেপারী পট্টিতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটন ঘটে। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া ফায়ার সার্ভিস ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় মা মনসা বানিজ্য ভান্ডার, শ্রী দূর্গা ভান্ডার, ভৌমিক জুয়েলার্স, সোনা ফরাজী এন্টারপ্রাইজ, হান্নান হার্ডওয়্যার, মিতালী জুয়েলার্স, দিব জুয়েলার্স, পূজা হার্ডওয়্যার, মহামায়া এলুমিনিয়াম পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কোটালীপাড়া ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট- সার্কিট থেকে মিতালীর জুয়েলার্সে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। আগুনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী বাসুদেব সাহা বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মা মনসা বানিজ্য ভান্ডারে প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল ছিল। এসব মালামাল পুড়ে ছাই হয়েগেছে।
ঘাঘর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, এক মাসের ব্যবধানে বেপারী পট্টিতে ফের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েগেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সকল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আমি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের লোন মওকুফ করে নতুন ভাবে লোন দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সরকারি ভাবে সহযোগিতা ও অগ্নিকান্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করা হবে।
উল্লেখ্যঃ গত ২২ এপ্রিল ঘাঘর বাজারের বেপারী পট্টিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এ অগ্নিকাণ্ডে ৩৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছিল।