প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিকাকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে প্রেমিক। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হয়। এরমধ্যে মামলা ছাড়াই নাটকীয়ভাবে থানা পুলিশ প্রেমিক আমিনুল ইসলামের মা ও অসুস্থ চাচাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় অপহরনের মামলা নিয়ে পুলিশ আটককৃতদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম শরিফাবাদ গ্রামের। অতিউৎসাহী হয়ে পুলিশের এ নাটকীয় ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই গ্রামের মৃত আবুল হাসান কবিরাজের ছেলে হালিম কবিরাজ বলেন, গত তিন বছর আগে ছোট ভাই আমিনুল ইসলামের সাথে একই বংশের প্রবাসী আবদুল হক কবিরাজের মেয়ের (১৭) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর পারিবারিকভাবে একাধিকবার ফেরানোর চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হই। ওই প্রেমের সূত্রধরে গত ২৭ মে আমিনুলের হাতধরে তার প্রেমিকা পালিয়ে যায়। এনিয়ে সোমবার সকালে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হয়। এরমধ্যেই নাটকীয়ভাবে গৌরনদী মডেল থানার এসআই শাহজাহান মামলা ছাড়াই আমার বৃদ্ধা মা ও অসুস্থ চাচাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। হালিম অভিযোগ করে বলেন, অপরাধ করলে আমার ভাই করেছে কিন্তু আমার মা ও চাচাতো কোন অপরাধ করেনি। অথচ তাদের আটকের পর রহস্যজনকভাবে থানা পুলিশ অপহরণ মামলা নিয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. শাহজাহান বলেন, কিশোরীর পরিবারের দায়ের করা অপহরণ মামলায় আটককৃতের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের ওপর আনা অভিযোগ সঠিক নয়।