প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সরকারীভাবে ধান ক্রয় শুরু হয়নি। জানা গেছে, চলতি ইরিবোরো মৌসুমে কৃষকদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করণের লক্ষে কৃষকদের নিকট থেকে সরকার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। প্রতিকেজি ধানের মূল্য ৩০ টাকা হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ১’শ ৮৮ মেট্রিক টন। গত ৭ মে থেকে ধান ক্রয়ের কথা থাকলেও অদ্যবদি অন লাইন লটারীর মাধ্যমে ধান প্রদানের জন্য কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি। এতে করে কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে বর্তমানে খোলা বাজারে কৃষকরা মোটা ধান সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দৈন্দদিন চাহিদা মেটাতে বাধ্য হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া এভাবে ধান বিক্রি করতে গিয়ে কৃষকরা গোলা ফাকা করছেন। ফলে তাদের ভাগ্যে হয়ত জুটবে না সরাসরি সরকারের নিকট ধান বিক্রি করতে। এনিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আবেদিত তালিকা থেকে অন লাইন লটারী মাধ্যমে আমরা কৃষক তালিকা প্রস্তুত করে তাদের নিকট থেকে ধান ক্রয় শুরু করবো। যেহেতু আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত সরকারীভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে এতে আশাকরি উপজেলায় ধান ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করা সম্ভব হবে।