জনস্বার্থ ক্ষুন্ন করে বেড়িবাঁধের উপর সেমিপাকা ভবন নির্মাণ করে সরকারের অন্তত ২৫ লাখ টাকার জমি জবর দখল করে নেওয়া হয়েছে। চলাচলের সড়ক দখল করে পাশপাশি তিনটি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। ফলে যানচলাল এবং পার্কিংয়ে অবশিষ্ট সড়ক ব্যবহার করতে বাধ্য হওয়ায় প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালীর কলাপাড়া সার্কেলের ৪৮ নং পোল্ডারে এমন অনিয়মের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যবন্দর কুয়াকাটার আলীপুর চৌরাস্তায় প্রকাশ্যে দখল দৌরাত্ম নিয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। আলীপুর চৌরাস্তায় পাউবো’র জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলোর কারণে আলীপুর বিএফডিসি মার্কেট থেকে ট্রাকযোগে ইলিশ রাপ্তানির ক্ষেত্রে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
আলীপুর বাজার কমিটির সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন ইদ্রিস বলেন, রাতের অন্ধকারে ঘর নির্মানের খবর পেয়ে বারণ করেছি, কিন্তু কোনো কাজে আসছে না।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ সোহরাব হোসেন হাওলাদার বলেন, চৌরাস্তা দখল করে তিনিটি পরিবার আর্থিক সুবিধা পেলেও প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বিএফডিসি আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোঃ শাকিল আহম্মেদ বলেন, মাছবাহী ট্রাকগুলোর স্বাভাবিক চলাচলের জন্য ২২ ফুট সড়ক নির্মণের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে, অচিরেই পাউবো এবং এলজিইডি’র অনাপত্তি এবং তাদের সহযোগীতা নিয়ে কাজটি শুরু করা হবে।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেই রক্ষা করতে হবে, তারা কোনো সহযোগীতা চাইলে আমরা করতে প্রস্তুত।
পাউবো কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খালিদ বীন অলীদ বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় তাদের অনিয়মে বাধা দিয়েছি, এখন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অচিরেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।