”খেলতে খেলতেই শেখা, খেলার মাধ্যমে শেখা” এমনই প্রতিপাদ্য ছড়িয়ে দিতে শিশুদের নিয়ে অন্যরকম এক আয়োজন। শেখার সময়টা শিশুরা যা পছন্দ করে, যা করতে আগ্রহী-ঠিক তেমন করেই তাদের মনের মতো ব্যতিক্রমি আয়োজন। সরাসরি শুধু চাপে পড়ে পড়াশুনায় মনোনিবেশ না করে খেলাধুলা, আঁকাআকি, নিজের মত করে যা ইচ্ছে করা, কৌশল সহ নানা ভাবে শিশুদের মননে বিকাশ ঘটিয়ে ও শেখার পরিবেশ তৈরি করে পড়াশুনায় উপযোগী করার লক্ষ্যে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ায় অনুষ্ঠিত শিশুমেলা দৃষ্টি কেড়েছে এলাকাবাসীর। প্রশংসা কুড়িয়েছে অভিভাবকদেরও। এতে অংশ নিয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করে, হৈ হল্লোর করে শিশুদের বেশ উচ্ছ্বসিত বোধ করতে দেখা যায়। উপজেলার বোনারপাড়া সরকারী কাজী আজহার আলী মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠ চত্ত্বরে আলাদা আলাদা ৮টি স্টলে ১২টি কমিউনিটি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৭৯ জন শিশু শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে। যাদের প্রত্যেকের বয়স ৩ থেকে ৫ বছর। কোমলমতি এসব শিশুকে খেলার মাধ্যমে বিকাশ ঘটিয়ে শেখায় আগ্রহী করে গড়ে তুলতে পাজেল তৈরি, ইচ্ছেমত বিভিন্ন খেলাধুলা, চিত্র কর্ম আঁকাআঁকি, গল্প বলা, স্বাস্থ্য সচেতন করা, নির্দেশনার খেলা করতে দেওয়া হয়। বিষয় ভিত্তিক নানা উপকরণ হাতে নিয়ে শিশুরা বেশ আনন্দে মেতে ওঠে। অংশ নেওয়া শিশুদের অভিভাবকরাও পাশে থেকে তা উপভোগ করেন। অভিভাবকরা জানান, অল্প বয়সে শিশুরা খেলায় খেলায় শিখতে ও বাস্তব ধারনা প্রদানে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। চ্যাম্পিয়নিং প্রজেক্টের আওতায় সেফ দ্যা চিলড্রেনের কারিগরি সহায়তায় এসবের আয়োজন করে বেসরকারি এনজিও এসকেএস ফাউন্ডেশন। পুরো আয়োজনে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর রেজাউল করিম ও মনিটরিং অফিসার সুমন বর্মণ। এতে অংশ নিয়ে যে ধারনা তৈরি হলো তা বাস্তবায়ন হলে শিশুদের বিকাশে বেশ সহায়ক হবে বলে মনে করেন উপজেলার পশ্চিমবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা বেগম। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুনর রশিদ বলেন, শিশুদের বুঝতে পারার বয়স থেকে খেলার ছলে এভাবেই বিকাশ ঘটানোর কৌশল গুলো দেখাতে হবে। এমন উদ্যোগে তাদের বেড়ে ওঠার সাথে সাথে সবকিছু শেখার বিষয়টি সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।