পটুয়াখালীর গলাচিপায় হিন্দু ধর্মালম্বাীদদের ২টি মন্দির ভাঙচুর করার ঘটনায় মো. রাসেল (৩০) নামে এক যুবককে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছেপুলিশ। এ ঘটনায় আনন্দময়ী কালী বাড়ি মন্দিরের সভাপতি রবীন্দ্র নারায়ন নন্দী বাদি হয়ে রাসেলের বিরুদ্ধে ওই রাতে মামলা দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপর আহমাদ মাঈনুল হাসানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার গলচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়রের ডাকুয়া গ্রামের আনন্দময়ী কালী বাড়ি মন্দিেেরর তালা ভেঙ্গে মন্দিরের ভিতর ঢুকে পার্শ্ববর্তী ফুলখালী গ্রামের হাকিম অলির ছেলে দাও দিয়ে কুপিয়ে দূর্গা প্রতিমার বাম হাত কেটে ফেলে। লোকজন এসে পড়লে রাসেল দৌড়াইয়া পালিয়ে যায়। এরপর আটখালী গ্রামের শিপন ডাক্তারের বাড়িতে ঢুকে ঘরের বেড়া ও চালের টিন কোপায়। ঘরের ছাদের ওপর থাকা মহাদেবের ত্রিশুল ভেঙ্গে ফেলে দেয়। শিপনের মাথায় ইট ছুড়ে মারলে সেই ইট গৃহবধূ সুমা রানীর পায়ে লেগে আহত হয়। ডাকচিৎকার শুনে লোজন ধাওয়া করলে রাসেল দৌড়ে পালিয়ে যায়। বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে রাসেল ডাকুয়া গ্রামের নন্দী বাড়ির মনসা মন্দিরের তালা ভেঙ্গে মন্দিরের ভিতর ঢুকে পাঠা বলি দেয়ার কাঠগোড়া তুলে নিয়ে মনসা প্রতিমার ওপর আঘাত করে ভাঙচুর করে। এ সময় সঞ্জীব কুমার গায়েন রাসেলকে ধরার চেষ্টা করলে রাসেল হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলায় ধারাল দাও ধরে। আশপাশের লোকজন সঞ্জীবকে উদ্ধার করতে এগিয়ে অসলে রাসেল অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে খুন জখমের হুমকি দিয়ে দ্রুত চলে যায়। হামলার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন সঙ্গীয় ফোর্স রাসেলকে আটক করেন।
আনন্দময়ী কালী বাড়ি মন্দিরের সভাপতি রবীন্দ্র নারায়ন নন্দী, ‘মন্দিরে হামলা করে ভাঙচুর করায় আমরা খুর ভয়ে আছি। তবে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে। এমপি সাহেবও আমাদের সাথে কথা বলেছেন এবং আর্থিক সাহায্য করেছেন।।’ গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ‘মন্দিরে হামলার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তাৎক্ষনিকভাবে অমরা অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করেছি। অধিকতর তদন্ত শেষে এর সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা যানা যাবে। এ ছাড়া এ উদ্দেশ্য কি তাও পরিষ্কার হবে।
রাত ৯ টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপর আহমাদ মাঈনুল হাসান, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদ তোহাসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন মন্দিরে হামলাকারী রাসেলকে পুলিশ অটক করেছে। এখানে হিন্দু মুসলিম সব ধর্মের লোক স্বাধীন ভাবে যার যার ধর্ম পালন করবেন। কেউ এ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্ট করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।