দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদী তীরের বেসরকারি জামান জুট মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে ওজোপাডিকো'র কর্মকর্তা শ্রমিকদের হাতে লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন। সূত্র জানায়, দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদীর তীরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চলছে বেশ কয়েক বছর যাবত। এই জুট মিলের বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। যা সরকারের বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। জামান জুট মিলের বিদ্যুৎ বিলের টাকা বকেয়া থাকায় ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ৩ এর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তামিম হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিলের চাকা বন্ধ হয়ে যায়। শত শত শ্রমিক ও কর্মকর্তারা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। মিল কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের রোষানলে পড়ে একপর্যায়ে লাঞ্চিত হন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মিলের অফিস কক্ষে আলোচনা হয়। জামান জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিপন মোল্লা এ প্রতিবেদককে জানান, ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি মিলের কাছে বকেয়া বাবদ ৮ লাখ টাকা পাবে। পাওনাকৃত টাকা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার অঙ্গীকার করার পরেও বিদ্যুৎ বিভাগের অতি উৎসাহী কিছু লোক ২৫ লাখ টাকার ভুয়া বিল নিয়ে এসে শতশত মানুষের রুটি রুজির উপর হামলা করেছে। রিপন মোল্লা আরো বলেন, আমরা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছি এবং দিঘলিয়া থানা পুলিশ বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে মিল কর্মকর্তাদের বৈঠকে ওই বিষয়ের সমাধান হয়েছে। অপরদিকে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামাল হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা জামান জুট মিল কে কয়েক বার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নোটিশ দিয়েছি। আজ ৩০ মে বুধবার বিকালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিই। এ সময় মিলের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করলে প্রকৌশলী মোঃ তামিম ও নুর ইসলাম নামে একজন বিদ্যুৎ কর্মী আহত হয়েছে। প্রকৌশলী মোঃ তামিম বলেন, আমরা বিষয়টি দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহকে বিস্তারিত মৌখিকভাবে জানিয়েছি। দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার বলেন ঘটনার পরপরই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কোন পক্ষ মামলা বা অভিযোগ করতে থানায় আসেনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তিনি জানান।