বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পরিক্ষার্থী হিসাবে নিজে না বসে বদলী পরিক্ষার্থী বসিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে এসএসসি পাশ করার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পত্নীতলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আবদুল গাফফার এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ৯মে এলাকায় কয়েক জন বিশিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর ফলাফল বাতিলের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন এবং অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন ১৫মে তারিখে একটি জাতীয় দৈনিক প্রকাশিত হয়। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩১মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ হতে উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম এর স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নওগাঁর জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আবদুল গাফফার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ হতে পত্নীতলা দ্বি-মুখী উচ্চবিদ্যালয় (৩৪১) কেন্দ্রে নিজে অংশগ্রহণ না করে নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক মো. সাজিউল ইসলাম সাজুকে বদলী পরিক্ষার্থী হিসাবে পরীক্ষার সীটে বসিয়ে সকল পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেন। যার আইডি নম্বর-২০-০-১০-৩৪১-০১৭, ব্যাচ-২০। এই পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৪৫ পয়েন্ট পেয়ে মো.আব্দুল গাফফার সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। এই ঘটনা জানা জানি হয়ে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান কর্ত্তৃক অসুদপায় অবলম্বনের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় তার অর্জিত অ্যাকাডেমিক সনদ বাতিল এবং ঘটনার সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পত্নীতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা শাহ চৌধুরী, নজিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর গৌতম চন্দ্র দে এবং ও দুলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তদন্তের জন্য একটি চিঠি পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করব।