নীলফামারীর সৈয়দপুরে চার বোর্ডিংয়ে চলছে খোলামেলা অসামাজিক কাজ। দীর্ঘদিন থেকে ওই বোর্ডিং গুলোতে অসামাজিক কাজ চলে আসলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোন অভিযান। ফলে ওই বোর্ডিং গুলোর আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।
পাশের ব্যবসায়িরা জানান,দিনে রাতে বিভিন্ন এলাকার নারীরা আসে শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কের সৈয়দপুর রেস্ট হাউজ ওরফে জসিম বিল্ডিং।
এ বোর্ডিং এর ম্যানেজার শামসুল হক ওরফে শামসু সরাসরি এ কাজের সাথে জড়িত। ওই ম্যানেজার প্রায় সময় নারীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ করে থাকে। অনেক সময় খদ্দেরের টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। কেড়ে নেয় তাদের মোবাইল সেট। নারী লেলিয়ে দিয়ে নিজে পুলিশ সেজে অনেক খদ্দেরের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তাদের বের করে দেয়। এমন অভিযোগ অনেকের। বিল্ডিং মালিক জিকো আহমেদ এ বিষয়গুলো জানার পরও ওই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন না।
এদিকে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কে রানা বোর্ডিং। এ বোর্ডিং যেন নারীর মেলা। বহুনারী সকাল থেকে রাত অবদি এখানে অসামাজিক কাজে ব্যস্ত থাকে। এটি প্রচার হলে সম্প্রতি এর নাম পরিবর্তন করা হয়। নতুন করে নামকরণ হয় রুবেল বোর্ডিং। এখানে ওই সকল অসামাজিক কাজ চললেও পুলিশ কেন যেন নিশ্চুপ।
শহরের শামসুল হক সড়ক ওরফে বিচালি হাটি। এখানে রয়েছে হোটেল সম্রাট। এটির মালিক প্রদীপ বাবু গং। তবে এটি দেয়া হয়েছে ভাড়ায়। প্রতিদিন ২ হাজার ৫শ টাকায় মালিকের কাছে ভাড়ায় চুক্তি নেয় আসলাম নামে একজন। তিনিও এখানে শুরু করেন অসামাজিক কাজ।
শহরের বাসটার্মিনাল এলাকায় আলম বোর্ডিং। এটি ভাড়ায় দেন তিনি। কোরবান আলি নামে এক লোক এটি ভাড়ায় নেন। প্রতিদিন তিন হাজার টাকা দিতে হয় মালিককে। ভাড়াটিয়া সেখানে রাখেন প্রতিদিন একটা করে ভিন্ন ভিন্ন নারী। সকালে এলে তারা চলে যায় রাতে।
দীর্ঘদিন থেকে ওই চার বোর্ডিংয়ে অসামাজিক কাজ চলে আসলেও থানা পুলিশের কোন অভিযান নেই। একটি সুত্র জানায় থানা পুলিশকে দেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। তাই পুলিশ অভিযান চালায় না। যার কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ।