আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে গবাদিপশু পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌলভীবাজারের খামারি ও গৃহপালিত গবাদিপশুর মালিকরা। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবদুস সামাদ জানান, খামারগুলিতে যাতে নিরাপদ ও সনাতন পদ্ধতিতে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ করা হয় সেদিকে কঠোর নজর রাখা হচ্ছে। কোনো গবাদিপশুকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, অত্যন্ত জোরালোভাবে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।’ গত কয়েক বছর ধরে সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ থাকায় মৌলভীবাজারে গবাদি পশু পালনকারীর সংখ্যা বেড়েছে।
জেলার ৭টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভায় ছোট-বড় ৫ হাজার ৩০০ খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। তবে বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। খামারি আবদুল জলিল বলেন, ‘খৈল, ভূষি, চিটা সহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় এবছর গরুর দাম একটু বেশি হবে। আমাদের খামারের ৮০ থেকে ৯০টি গরুর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তত করা হচ্ছে। আশা করছি, আর ১৫ থেকে ২০ দিন পর থেকে গরু বিক্রি শুরু হবে।’
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর কোরবানির ঈদের জন্য এইসব খামারে প্রায় ৫৭ হাজার গবাদি পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাছাড়া গৃহপালিত পশুর সংখ্যা ৪০ হাজারেরও অধিক হবে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ গবাদি পশু কোরবানি ঈদের জন্য প্রস্তত করা হচ্ছে।