দীর্ঘদিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় ও অতিরিক্ত গরমে দিনাজপুরের হিলিতে পান গাছে গোড়াপচা রোগ দেখা দিয়েছে। এতে ঝরে পড়ছে সব পান। ওষধ দিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় সব গাছ তুলে ফেলতে হচ্ছে, ফলে লোকশানের আশঙ্খা পান চাষিদের।
সোমবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ঘাসুরিয়া,মাধবপাড়া ও ঘনস্যামপুুর গ্রামের প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে ৩৫০ টি পানের বরজ গড়ে উঠেছে। এখানকার উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে বয়ে যাওয়া প্রচন্ড তাপদাহ ও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পানের গোড়া ও পাতা পচা রোগ দেখা দিয়েছে।
ঘসুরিয়া গ্রামের পানচাষি মনছুর জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে পান চাষ করেছেন। কয়েকদিন থেকে তার পানের গোড়া ও পাতা পচা রোগ দেখা দিয়েছে। কোন ওষধ দিয়ে কাজ হচ্ছেনা। ফলে আক্রান্ত গাছগুলো তুলে ফেলতে হচ্ছে। তিনি আরোও জানান, লাভের আশায় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পান চাষ করেছি। এখন দেখছি লাভতো দুরের কথা বড় ধরণের লোকসান গুণতে হবে।
পান চাষি মোবারক হোসেন জানান, পানের গোড়া পচা ও পাতা পচা রোগের খবর পেয়ে বিভিন্ন কিটনাশক কোম্পানীর প্রতিনিধিরা এসে তাদের ওষধে কাজ হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়ে ওষধ বিক্রি করে যাচ্ছে। কিন্তু কোন ওষধেই কাজ হচ্ছে না।এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।
হাকিমপুর (হিলি) কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, অতিরিক্ত রোদ গরমে পানের গোড়ায় পচন দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচাতে অনুমোদিত কিছু ছত্রাক নাশক, জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের পরামর্শসহ সব ধরণের সহযোগীতা করা হচ্ছে।