বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদানে জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২১’-এ আবারো ১ম স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। সোমবার (৫ জুন) বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। এ সময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব মো. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে ২০০৯ ও ২০১২ সালে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। এছাড়াও জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২১ ও ২০২২ অর্জন এবং এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অব দ্যা ইয়ার ২০১৬, বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা কমানোয় ডঐঙ (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) কর্তৃক বিশ্বের সেরা নগরী হিসেবে স্বীকৃতি রয়েছে রাজশাহী মহানগরীর।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু সোমবার বিকেলে জানান, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
এ বিষয়ে রাসিকের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ-মাহমুদ উল ইসলাম বলেন, রাজশাহী একটি সবুজ, পরিচ্ছন্ন, ফুলের শহর হিসেবে দেশে বিদেশে পরিচিত লাভ করেছে। এই শহরের রূপকার সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁর নেতৃত্বে ও নির্দেশনার রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক বিভাজক, ফুটপাত, সড়কদ্বীপ ও চত্বরসমূহে ২ লক্ষাধিক নানা প্রজাতির স্থায়ী বৃক্ষ এবং ১০ লক্ষাধিক সৌন্দর্যবর্ধক হেজ জাতীয় বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এছাড়াও শীত ও বসন্তকালে নগরীর সড়ক বিভাজকে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা রোপণের মাধ্যমে সড়কগুলো ফুলে-ফুলে সুশোভিত করা হয়। শুধুমাত্র ২০২২-২০২৩ সালের শীত মৌসুমে ২ লাখ ৫৩ হাজার নানা প্রজাতির ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। আর এর স্বীকৃতি হিসেবে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০০৯, ২০১২ ও ২০২১ অর্জন, জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২১ ও ২০২২ এবং এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অব দ্যা ইয়ার ২০১৬, বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা কমানোয় ডঐঙ (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) কর্তৃক বিশ্বের সেরা নগরী এবং এশিয়ার অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহরের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
এ বিষয়ে রাসিকের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বৃক্ষরোপণ, সবুজায়ন ও পরিবেশ উন্নয়নে সারাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজশাহী নগরী। রাজশাহী পরিণত হয়েছে একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ, ফুলের নগরীতে। আমি আগামীতে আবারো সুযোগ পেলে আরো সুন্দর করে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামীতে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ ও পদ্মাতীর ঘেঁষে সবুজ বেস্টনি স্থাপন, নদীর চর ও অন্যান্য খাসজমিতে বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ, উষ্ণায়ন ও চরম আবহাওয়ায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং নগরবাসীর জীবন যাত্রার অনুকূল পরিবেশ রক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞগণের সুপারিশক্রমে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং মিনি সাফারি পার্ক ও এভিয়ারি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। এক কথায় আগামীতে সুজোগ পেলে রাজশাহীকে আরো উন্নত, আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।