নৌকার মনোনয়ন চেয়ে কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন।
বুধবার বিকেলে নির্বাচনী এলাকার পাকুন্দিয়া উপজেলার মির্জাপুর, বাহাদিয়া, মঠখোলা, বুরুদিয়া, পাটুয়াভাঙ্গা, হোসেন্দী ও পাশ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা, বানিয়াগ্রাম, মধ্যপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মোটর সাইকেল শোডাউন করেন তিনি। শোডাউনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরেশোরে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রে লবিংয়ের পাশাপাশি জনমত গঠনের জন্য এলাকায় সভা সমাবেশ করছেন তিনি। জনগণের সাড়াও পাঁচ্ছেন ভালো। এরই অংশ হিসেবে নিজের জনপ্রিয়তা ও শক্তির জানান দিতে বুধবার বিকেলে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল শোডাউনের আয়োজন করা হয়।
বুধবার দুপুরের পর থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মোটরসাইকেল নিয়ে পাকুন্দিয়া পৌরসদর ঈদগাহ মাঠে জড়ো হন এবং মাইক্রোবাস নিয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। বিকাল ৪টার দিকে সেখান থেকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস শোডাউন বের হয়। মোটরসাইকেল শোডাউন শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী উচ্চবিদ্যালয় খেলার মাঠে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় একাই বক্তব্য রাখেন মো. রফিকুল ইসলাম রেনু।
এ সময় রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগে বহু হাইব্রীড নেতার জন্ম হয়েছে। সুবিধা ভোগীদের ভীড়ে ত্যাগীরা বাদ পড়েছেন। এতে দলে গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়। গ্রুপিংয়ের কারণে দিন দিন দল দুর্বল হচ্ছে। দলকে উত্তোরণের জন্য আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে মাঠে নেমেছি। আমি আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন। মনোনয়ন পেলে আমি বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন না দেন তাহলে যে নৌকা পাবেন তার হয়ে আমি এবং আমার নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করব।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগসহ তৃণমূলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। শোডাউনে ১ হাজার মোটরসাইকেল ও ১২০টি মাইক্রোবাস ছিলো বলে জানা গেছে।