সড়ক দুর্ঘটনা একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যা কেঁড়ে নেয় মানুষের মূল্যবান জীবন। কেঁড়ে নেয় হাজারো মানুষের স্বপ্ন। দৈনন্দিন আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। দৈনিক পত্রিকার পাতা খুললেই সড়কের মৃত্যু খবর ভেসে আসে আমাদের সামনে। যা আমাদের অনেক পীড়া দেয়। তার চেয়েও বেশি পীড়া দেয় দুর্ঘটনা কবলিত স্বজনদের। প্রতিনিয়ত এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা গুলো ঘটার পরেও আমরা দুর্ঘটনা রোধে কোনো সুফল পাঁচ্ছি না। বরং যান চলাচলে প্রতিনিয়ত উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ বাড়ছে। সাধারণত যান চলাচলে ড্রাইভারদের উচ্ছৃঙ্খলতার কারণেই বেশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে সড়কে। চট্টগ্রামে সড়কে গত এক মাসেই প্রাণ হারিয়েছে ১৩ জন। আহত হয়েছেন ৩০ জন। পত্র পত্রিকার তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি মাসে ৫ জুলাই পর্যন্ত তিনটি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন। ৪ জুলাই পতেঙ্গা সৈকতের ওয়াকওয়েতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক মোটরসাইকেল চালক। ২৯ জুন সীতাকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ জুন নগরীর বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কায় এক তরুণের মৃত্যু হয়। ২৭ জুন পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে গোবিন্দারখীলতে ট্রেনের ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। ২০ জুন ফটিকছড়ি উপজেলায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। ১৮ জুন লোহাগাড়ার আমিরাবাদের তজু মুন্সির গ্যারেজ এলাকায় মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত। ৬ জুন পাহাড়তলী থানায় স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারান দুই যুবক-যুবতী। ৫ জুন পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় তিনজন প্রাণ হারান। দুর্ঘটনাগুলোর অধিকাংশ ঘটনায় ঘটেছে বেপরোয়া যান চলাচলের কারণে। ফলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ রয়েছে, ফিটনেসবিহীন গাড়ির অবাধ চলাচল, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ঘটছে এমন সড়ক দুর্ঘটনা। তবে এই বিষয়ে ট্র্যাফিক পুলিশ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সবসময় তৎপর থাকার কথা বললেও তা বাস্তবতায় বিপরীত চিত্র ধারণ করছে। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। কোনো সুফল মিলছেই না ট্র্যাফিক পুলিশ থাকা সত্ত্বেও। সরকার নির্ধারিত গতি নির্ধারণ করলেও তা মানছেন তা যানবাহন চালকরা! তাহলে ট্রাফিক পুলিশের কাজ কী? তাদের সামনে দিয়ে এমন অনিয়মের যান চলাচল হয় তারা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেনো? আর কত মৃত্যু হলে আপনারা ব্যবস্থা নিবেন? আমরা চাই বেপরোয়া যান চলাচল বন্ধ হোক, অপ্রত্যাশিত মৃত্যুরোধ হোক। এটাই সরকারের কাছে প্রত্যাশা।