বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণ আন্দোলনের চাঁপে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের খবরে বিজয় উল্লাস হচ্ছে নগরীসহ বরিশাল জেলাজুড়ে। নগরী ও জেলার সবগুলো উপজেলাগুলোতে বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রাস্তায় নেমে এসে আনন্দ করছে। একইসাথে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে নগরীসহ প্রতিটি উপজেলায়। আনন্দ উল্লাসে নামার পর পরই অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। নগরীতে অবস্থিত জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, এনেক্স ভবন, নগর ভবন, সার্কিট হাউস, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রবেশদ্বার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের প্রতিটি দুরপাল্লার পরিবহনের কাউন্টারসহ প্রতিটি বাসষ্ট্যান্ডে নির্মান করা শোকের মাসের তোরণ, দলীয় কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গ্রামের প্রতিটি পাড়া ও মহল্লায় বিএনপি সমর্থিতদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ বিরোধী মিছিল। মিছিলের অগ্রভাগে থাকা অধিকাংশ লোকই এতোদিন আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে সরকারের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করে প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করে রেখেছিলেন। তবে আনন্দ উল্লাসের নামে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোথাও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি।