আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হামলা, গুলি বর্ষণের ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে। উত্তেজিত মিছিলকারীরা সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং বিক্ষুব্দ জনতার পিটানিতে সাবেক চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন নিহত হয়েছেন বলে অসর্থিত সূত্রে জানাগেছে। তবে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবর জানার পর এবং সেনা বাহিনী প্রধানের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ শোনার পর ইউনিয়নের জনগণ আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে নাকনা গ্রামে ঢুকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় কিছু উৎসুক জনতা তার বাড়িতে আক্রমণ করলে দ্বিতল ভবনের জানালা দিয়ে উপর্যুপরি গুলি বর্ষণ করলে মিছিলকারীদের ৩ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয় বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়। নিহতরা হলেন কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের অরেজ আলী মোড়লের ছেলে হাফেজ আনাছ বিল্লাহ (১৭), কল্যানপুর গ্রামের নূর হোসেন ঘরামির ছেলে আদম (১৬) ও প্রতাপনগর গ্রামের ছাত্তার সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন (১৫)। এ ছাড়া ১৫/২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে গণ পিটুনি দিলে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেন নিহত হন বলে অসমর্থিত সূত্রে জানাগেছে। এ সময় তার সাথে থাকা আরও দুজন মারা গেছে বলে একই সূত্রে জানাগেছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের ঢল ছিল সেখানে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ জানান, আমি ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি, তবে দুজন মারা গেছে বলে প্রাথমিক খবরে জানতে পেরেছি।
এব্যাপারে আশাশুনি থানায় বার বার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় ঘটনার সত্যতা নিয়ে কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, সরকারি কলেজ গেটে শেখ রাসেল ল্যাবের সাইনবোর্ড, গুনাকরকাটি বাজারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি স্তম্ভ, গাবতলা আওয়ামী লীগ অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে।