শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ এবং সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তবতীকালীন সরকারের ঘোষণা পর রাজশাহীর বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামনের বাড়িসহ ১৩ স্থানে দূর্বৃত্তদের হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দূর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তবতীকালীন সরকার ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা শুনার পর দূর্বৃত্তরা লাঠি, ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে বাজুবাঘা ইউনিয়নের আমদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ও বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ইত্তেফাকের উপজেলা সংবাদদাতা নুরুজ্জামানের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে তার বাড়ির দুইটি ফ্রিরিজি, তিনটি টিভি, ৫টি এ্যাসি, আটটি ঘাট, একটি ল্যাপটপ, আসবাবপত্র, দরজা, জানালা ভাচুর করা হয়েছে। হামলার বিষয়ে টের পেয়ে সাংবাদিক নুরুজ্জামান, তার স্ত্রী বাজুবাঘা ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি নিলা জামান, ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ আহমেদ বাড়ি থেকে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তারা বাড়ি থেকে সরে যাওয়ায় প্রানে বেঁচে গেছেন বলে তার স্ত্রী নিলা জামান জানান।
এছাড়া বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানের মেজো ভাই কামরুল হাসান আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও বড় ভাই রাজু আহমেদ গোয়েন্দা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। তার বাড়িতে কী কারণে হামলা করা হলো এটা সঠিকভাবে কিছুই বলতে পারছেনা। তবে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কারও পক্ষে বিপক্ষে সংবাদ পরিবেশন হতে পারে, এর জের ধরে হইতো দূর্বৃত্তরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারনা করেছেন সাংবাদিক নুরুজ্জামান।
এ বিষয়ে বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান কান্না কন্ঠে বলেন, দূর্বৃত্তরা বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তারা ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করেন। এতে আমি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে আতঙ্কে মধ্যে রয়েছি।
এছাড়া বাঘা ভূমি অফিস ও বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাঘা পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে, শাহদৌলা কলেজে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল ভাংচুর করা হয়েছে। বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেনের বাড়ি, আমদপুরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, বাউসা ইউনিয়ন কার্যালয়, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক গাওপাড়া গ্রামের শাহিনুর রহমান পিন্টু, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সামিউল হক নয়ন সরকার, বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন, আড়ানী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব হোসেন, বাজুবাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক ফজলের বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, শুনেছি দূর্বৃত্তরা বিভিন্নস্থানে ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ভূমি অফিস বাঘাবাসীর সম্পাদ, এটা পুড়িয়ে দেওয়া মানে বাঘাবাসীর খতি করা। এটা থেকে দূর্বৃত্তদের দুরে থাকা ভাল। নিজে নিজে ক্ষতি করলে আমার করার কী বা আছে?।