সারাদেশের ন্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভকারীরা সরকার পতন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সংবাদে সোমবার বিকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় নাঙ্গলকোট থানা, নাঙ্গলকোট রেল স্টেশন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি, সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রতিকৃতি, উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালুর বাড়ি, পৌর মেয়র আবদুল মালেকের বাড়ি, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, নাঙ্গলকোট পোষ্ট অফিস, পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতাল, আল্ট্রা মর্ডাণ হাসপাতাল, লোটাস চত্ত্বর, বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪, বিসমিল্লাহ মৎস্য হ্যাচারী, উপজেলা মহিলা আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক খুরশিদা আক্তার লাভলীর বাড়ি, ছাত্রলীগ নেতা ওয়ায়েদুল হকের বাড়ি এবং বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়াও বিক্ষোভকারীরা আসার সংবাদ টের পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ থানা রেখে পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালুর ১টি প্রাইভেট কার, ১টি পিকআপ,২টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয় এবং বাড়িতে থাকা সকল আসবাপত্র ও মৎস্য হ্যাচারীর সকল মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। জোড্ডা পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফছারের চৌমুড়ী বাজারে সাজেদা সুপার মার্কেট ভাংচুর করে।
উপজেলা মহিলা আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক খুরশিদা আক্তার লাভলী বলেন, দুর্বৃত্তরা আমার স্বামী আ'লীগ নেতা আবদুল মতিনকে মারধর করে এবং আমার বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।