ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাবেক বিএনপির সাধারন সম্পাদক ব্যবসায়ী মোঃ মোহেবুল্লাহর শুক্তাগড় গ্রামের ৩৭ বছর ধরে বসবাস করা বসতঘর ভাঙচুর করে মালপত্র লুট ও গাছপালা কেটে নিয়ে তার পরিবারকে উৎখ্যাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে ব্যবসায়ী মোঃ মোহেবুল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। তিনি এ ঘটনায় ঝালকাঠি আদালতে মামলা করায় আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে তার নবম শ্রেণি পড়-য়া ২ মেয়ের পড়াশোনা বন্ধের উপক্রমসহ তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের পিতার পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে শুনান তার স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগে জানান, মোহেবুল্লাহর পিতা মৃত সিরাজুল ইসলাম ১৯৮৬ সালে ওই ৭ কাঠা জমি করলা করার পর ১৯৮৭ সালের বসতঘর নির্মান করে মোহেবুল্লাহর তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু গত ৬ আগস্ট সকালে শুক্তাগড় গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে প্রতিপক্ষ জাহিদ হোসেন, মৃত আঃ লতিফ হোসেনের ছেলে সাজিদ হোসেন ও কাউখালির দাশেরকাঠির হাবিবের ছেলে হাসিব ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে মোহেবুল্লাহর বসতঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২শ টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ঝালকাঠি আদালতে মামলা (নং-সি.আর-১৬৯/২০২৪ (রাজা) দায়ের করেন তিনি। বাড়ি ও বসতভিটা ছেড়ে ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়ায় আসামিরা রাতের আঁধারে ওই বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও প্রাননাশের হুমকিতে রয়েছে মহিবুল্লাহসহ তার পরিবার। মামলার করার পর আসামীদের হুমকিতে তার মেয়ে জাফরাবাদ নেছারিয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী সানিয়া ও কাঠালিয়া জিপিএস স্কুল এ- কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের পড়াশোনা বন্ধের উপক্রমসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। সংবাদ সম্মেরনে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিরাপদে বসবাসের জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা। মামলা দায়েরর পর পলাতক থাকায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাহিদ হোসেনের মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাজাপুর থানার এসআই মোঃ সোয়েব জানান, মামলা তদন্তের কাজ শুরু করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।