বৈধ অস্র দ্রুত ফেরত পাওয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঝালকাঠির গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আমিনুল ইসলাম খান লিটন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় শহরের পূর্ব চাঁদকাঠিস্থ নিজ বাসভবনে তিনি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন তিনি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। নিজ ইউনিয়নে সমাজসেবাসহ ও স্থানীয় সালিশ বিচারের কাজে নিয়োজিত থাকেন। তিনি ২০০৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম অংশ নেন এবং ২০১১ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তার প্রতিপক্ষ গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের তৎকালিন চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার সন্ত্রাসী পুত্রসহ দলবল নিয়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারী কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল, বরিশাল ও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিপক্ষের হামলা থেকে রক্ষা ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ সালে লাইসেন্সকৃত ১২ বোর একটি শর্টগান ক্রয় করেন। শর্টগানটি বহনে কষ্টসাধ্য হওয়ায় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ আরেকটি লাইসেন্সকৃত ৩২, বোর, পিস্তল ক্রয় করেন এবং সরকারের নিয়মিত ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করেন।
জেলা আ.লীগের সভাপতি সরদার শাহ আলমের ভাইগ্না ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাসুম শেরওয়ানীসহ আ.লীগ নেতারা ২০১৬ সালে ৫টি গায়েবী মামলা দিয়ে তাঁকে হয়রানি করেছিল। ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনের আ.লীগের নির্বাচনী অফিস নিজেরা পোড়াইয়া তাঁর নামে মিথ্যা আরো গায়েবী মামলা দেয়। গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নটি ৩টি থানার সীমানায় অবস্থিত হওয়ায় অপরাধমূলক কার্যক্রম সংঘটিত হওয়ার কারণে তার ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য বৈধ অস্র সবসময় সাথে রাখা আবশ্যক ছিল। পিস্তল সবসময় তার নিরাপত্তার জন্য সাথে থাকে এবং শর্টগানটি বাসার নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে থাকে। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচন চলাকালিন সময় প্রতিপক্ষ তার ছোট ভাই প্রিন্সকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
বর্তমানে সরকারের নির্দেশে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি ২সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি সদর থানায় অস্ত্র দুটি জমা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, অস্র দুটি জমা দেয়ার পর আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করছি। যাচাই বাচাই করে প্রশাসনের নিকট অস্ত্র ২টি দ্রুত ফেরত পাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।