ঝালকাঠির রাজাপুরের কানুনিয়া গ্রামে যৌতুক দিতে না পারায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী নববধূ নাজমা আক্তারকে (১৯) কে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় নাজমার মা ফরিদা বেগম ও বোন ময়না বেগম অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী জাহিদ হোসেন ও তার মা পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই পরীক্ষার্থীকে বিষ খাওয়ানো হয় এবং বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোররাতে মারা যায় বলে ওই পরীক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ। নাজমা পিরোজপুরের কাউখালির গুয়াটন কলেজ এলাকার বৌলাকান্দা এলাকার আবুল বাসারের মেয়ে ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার গুয়াটন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। অভিযুক্ত স্বামী মুদি দোকানী জাহিদ হোসেন উপজেলার কানুনিয়া গ্রামের আবু বকররের ছেলে। নাজমার মা ফরিদা বেগম ও বোন ময়না বেগম অভিযোগ করে জানান, চলছি বছরের ৮ মার্চ পারিবারিক ভাবে বিয়ে হওয়ার পর থেকে বেশি পরিমানে দামী যৌতুক দিতে না পারায় যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় মারধর ও শারিরীক মানসিক নির্যাতন করতো। বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজমার স্বামীনও তার শাশুড়ী মিলে মারধরের একপর্যায়ে তাকে বিষ খাওয়ায় বিষয় নাজমা তার বোন ময়নাকে জানালে তারা গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমনকি নাজমাকে তার বাবার বাড়িতে দাফন করা হলেও জামাতা বা শ্বশুরবাড়ির কেহ যায়নি। জামাতা জাহিদ মোবাইল জুয়ায় আসক্ত ও নেশাগ্রস্থ বলেও অভিযোগ করে এঘটনার বিচার দাবি করেন নাজমার পরিবার। এ বিষয়ে রাজাপুর থানায় সোমবার সন্ধ্যায় অভিযোগ দিলে পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। জানতে চাইলে রাজাপুর থানার এসআই বিপুল জানান, অভিযুক্ত ছেলের বাড়িতে গিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ দেখা গেছে এবং ছেলে ও ছেলের মা পলাতক রয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।