রাজশাহীর দুর্গাপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এমপি, তিন উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২০০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে আসামি করে
মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুত কুমার সরকার ও দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল গফুর।
দুর্গাপুর থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগীতাকারীদের হত্যার উ˜েদ্যশ্যে দুর্গাপুর উপজেলা মেডিকেল মোড়ে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে বোমাবাজি করে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র শাহাদত হোসেন।
মামলার আসামিরা হলেন বিগত সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা, সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান শরিফ, নজরুল ইসলাম, আবদুল মজিদ সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ মান্নান ফিরোজ, আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহার আলী, সাবেক পৌর মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট, আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান, আকতার আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আক্কাছ আলী, কিশমত গনকৈড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরমোহাম্মদ, পানানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আদম আলী, দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নজুম, ঝালুকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিঠু, সাধারন সম্পাদক ছালিমুদ্দিন, পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক আবুল বাসার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল খান, সাধারন সম্পাদক রিপন সহ এজাহার নামীয় ৭০জন সহ অজ্ঞাত ১৫০/২০০ জন।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মাসুদ জানান, হত্যারচেষ্টা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জনকে আসামীকরে উপজেলার জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র শাহাদত হোসেন। ওই মামলায় এজাহার নামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।