ক্লাব ফুটবলে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়রের উত্থান রিয়াল মাদ্রিদে। তিনি নিজেও ক্লাবটিকে নিজের ধ্যান-জ্ঞান বলে মনে করেন। তবে তাদের হয়ে খেলতে গিয়েই স্প্যানিশ অন্য ক্লাব সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয় ভিনিসিয়াসকে। বিশেষ করে তাকে বর্ণবাদী গালি দেওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকবারই ফুটবলবিশ্বে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। এমনটা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকলে, স্পেন থেকে বিশ্বকাপ আসর সরে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক সত্ত্ব পেয়েছে যৌথভাবে তিনটি দেশ। যেখানে স্পেনের সঙ্গী আরও দুই ইউরোপীয় দেশ পতুর্গাল ও মরক্কো। সেই বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই স্প্যানিশ দর্শকদের বর্ণবাদী আচরণ বন্ধের আহবান জানিয়েছেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড ভিনি। ২৪ বছর বয়সী এই তারকার সঙ্গে এমন ঘটনার দায়ে গত জুনে ভ্যালেন্সিয়ার তিন সমর্থককে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। বর্ণবাদী আচরণ বন্ধ না হলে স্পেন থেকে আয়োজক সত্ত্ব সরিয়ে নেওয়ার বিবেচনা করতে বললেন রিয়াল তারকা ভিনিসিয়াস। সিএনএনকে দেওয়া মন্তব্যে তিনি বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের সামনে লম্বা সময় রয়েছে। আমি আশা করি স্পেন তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটাবে এবং তারা বুঝতে পারবে যে কারও গায়ের রঙ নিয়ে বাজে মন্তব্য করার বিষয়টি কতটা গুরুতর। যদি ২০৩০ সাল নাগাদ বিষয়টি উন্নত না হয়, আমার মনে আমাদের (বিশ্বকাপ) ভেন্যু পাল্টানো উচিৎ। কারণ কেউ যদি সেখানে খেলতে স্বস্তিবোধ না করে এবং বর্ণবাদের কারণে নিরাপদ মনে না করে, সেটি তার জন্য কঠিন হয়ে উঠবে।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এমন মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে, স্প্যানিশ মিডিয়ায় নতুন বিতর্ক ওঠে। তাদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভিনিসিয়াসের মন্তব্য দেশটিকে রেসিস্ট হিসেবে ভুল পরিচয় দিচ্ছে। মাদ্রিদ এবং স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক পাকো বুয়ো টিভি-শো ‘এল চিরিঙ্গাতো’তে বলেন, ‘ভিনিসিয়াস ঢালাওভাবে আমাদের সবার ওপর অভিযোগ করেছে, যা আমাকে ব্যথিত করেছে।’ আরেক কলাম লেখক টমাস রনকারো আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ভিনিকে তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। এদিকে, ভিনিসিয়াস তার সাক্ষাৎকারে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেছেন বলে উল্লেখ করেছে ইএসপিএন। ভিনি বলেছিলেন, ‘স্পেনে অনেক ধরনের মানুষ আছে, তাদের অধিকাংশ বর্ণবাদী নন। তবে ছোট একটি সংখ্যা দেশটির ভাবমূর্তি ক্ষণœ করছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে ভালোবাসি, স্পেনকেও ভালোবাসি, এমনকি পরিবার নিয়েও থাকি এখানে। তবে আমি আশা করি কিছু বিষয়ের পরিবর্তন দরকার। ২০৩০ সালের আগে তাদের বর্ণবাদী বিষয়গুলোতে আরও নজর দিতে হবে।’