বেড়ীবাঁধ ভেঙে দাকোপের পানখালী ইউনিয়নের খোনা খাটাইল গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত ২ হাজার বিঘা জমির চারা ধান। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ী রাস্তাঘাট।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ নং পোল্ডারের অধীন দাকোপের পানখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড খোনা গ্রামের আনুঃ ১ শ’ মিটার ওয়াপদা বেড়ীবাঁধ শুক্রবার দুপুরে পানির চাপে ভেঙে যায়। ফলে জোয়ারের পানি ঢুকে খোনা ও খাটাইল গ্রামের ৪ শতাধীক পরিবার প্লাবিত হয়েছে। সদ্য রোপন করা ২ হাজার বিঘা জমির চারা ধান পানির নীচে। দু’টি গ্রামের ঘরবাড়ী রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ আটকাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে শুক্রবার রাতের মধ্যে বাঁধ আটকাতে না পারলে সমগ্র ৩১ নং পোল্ডার তথা পানখালী ও তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে। ঝুঁকির মূখে পড়বে চালনা পৌরসভা এলাকা। পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ রাশেদুল ইসলাম বাবুর উপস্থিতিতে শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ আটকাতে কাজ করছে। ভাঙন এলাকায় থাকা খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, এ জায়গাটি ঝুঁকিপূর্ন থাকায় আমাদের তত্ত্বাবধানে সংস্কার কাজ চলমান অবস্থায় বাঁধটি ভেঙে গেছে, আশা করছি রাতের মধ্যে আটকাতে সক্ষম হব। এ সময় পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুজয় কর্মকর, উপসহকারী প্রকৌশলী গোপাল কুমার দত্ত উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবরে তাৎক্ষনিক সেখানে উপস্থিত হন দাকোপ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান খান, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু সাইদ, জেলা সিপিবিনেতা এ্যাড. এম এম রুহুলামিন, কিশোর রায়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।