চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার মেথর বাড়ির খাল সড়কের চৌরাস্তায় আবারো এলাকার আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে পৌরসভার ১ ও ২ নং ওয়ার্ড মহল্লার দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৯টা থেকে শুরু করে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ।
তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের দিকে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয় এবং অন্ধকারের ভিতর টর্চলাইটের আলোতে বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় নতুন রাস্তার চৌরাস্তা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং আশপাশে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
আহতদের অনেকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয় এই মারামারিতে আহত ৪০ জন চিকিৎসা নিয়েছে এবং ভর্তি আছেন ৬ জন।
খবর পেয়ে ঘটনার রাত বারোটায় সেনাবাহিনী, থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
২নং ওয়ার্ড মহল্লার খালের দক্ষিণ পাড় বউবাজার,ভাওয়ালবাড়ি,সরকারি পুকুরপাড়,মধ্যশ্রীরামদী কবরস্থান এলাকার যুবকদের সাথে মাছবাজার,রিফিউজি ক্যাম্প - মোমফ্যাক্টরী,নিতাইগঞ্জ, ম্যারকাটিজ রোড মহল্লার যুবকের এ সংঘর্ষে জড়ায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তাদের অধিকাংশই স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপ হিসেবে পরিচিত।
তবে কি নিয়ে তাদের মধ্যে এই সংঘাত কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি এলাকার লোকজন। এলাকায় আধিপত্য ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিএনপির দুইপক্ষের এই মারামারি বলে ধারনা তাদের। মারামারিতে বিএনপি যুবদলের নেতাকর্মীদের সাথে কোন কোন মহল্লার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকরাও জড়িত হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
এর আগেও ওই এলাকায় বিবদমান দুই পক্ষের মধ্য একাধিক মারামারির ঘটনা ঘটেছে এবং লোকও মারা যায়।বর্তমানে সরকার পটপরিবর্তনেও ওইসব এলাকার সংঘাত,সহিংসতা ও মারামারি থামছে না।
এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কঠোরতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকার শান্তিপ্রিয় সচেতন মহল।
এদিকে, শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত থাকার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন চাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি।
এ ব্যাপারে দুই পক্ষকে নিয়ে বসার জন্য ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেয়া হয়।এর পর কিছু হলে দলের বদনাম হয় এমন কাউকে ছাড় দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।