ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, এই মুহূর্তে আমাদের দেশকে সুন্দর করার লক্ষ্যে যারা জীবন দিয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকে আমার ছাত্র। আর এখানে তোমরা নেমেছো লুট, সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজি করতে। তোরা ভালো করে জেনে রাখিস, বাংলাদেশের মানুষ ন্যায় প্রতিষ্ঠার করার জন্য জীবন দিয়েছে, তোদের মতো সন্ত্রাসীদেরও বাংলার মসনদে দেখতে চায় না। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যখন দেশ বিভিন্ন প্রশাসনিকভাবে ভেঙে পড়ে তখন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ কর্মীরা সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারায় নেমেছিল। মানুষের জানমাল ও ইজ্জত রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করেছে। রাস্তায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তারা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছে। আর ওই সময় কিছু স্বার্থন্বেষী মহল, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত, জমি দখলে লিপ্ত, সন্ত্রাসীতে লিপ্ত, বিভিন্ন স্বার্থ উদ্ধারে লিপ্ত। আমরা তাদেরকে ধিক্কার জানাই। তাদেরকে আমরা ঘৃণা জানাই। ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দূর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করাসহ ইসলামি সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ময়মনসিংহে গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বিকেলে নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহ জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এখন আর ছোট দল নয়, এখন ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার যোগ্যতা রাখে। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশকে ছোট ভাবলে হবে না। যখন ইসলাম বিদ্বেষী কোন দল মাথা উঁচু করে, তখন তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য মাঠে থাকে। আপনারা দেখেছেন, বিগত দিনে দেখেছি ইসলামের নামে কিছু দল তাদের স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে। আমরা সকল ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি। দেশের জন্য এবং মানবতার কল্যাণের জন্য আমরা সকলে একসঙ্গে মিলে কাজ করার অঙ্গীকার করছি। তিনি আরো বলেন, ময়মনসিংহ নগরীতে বেরিবাধ এলাকায় এক হাজারের মতো লোক গড় বেঁধে বসবাস করে। তাদেরকে উৎখাত করার জন্য কিছু ষড়যন্ত্র করছে। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ন্যায়ের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিবাদে। সংগঠনের ময়মনসিংহ মহানগর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাও. লোকমান হোসেন জাফরী, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি. এম. রুহুল আমীন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা সভাপতি আলহাজ্ব হাদীউল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি মাও. মামুনুর রশিদ সিদ্দিকীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।