শেরপুরে আধিপত্য বিরোধে দুই এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এ সময় ৫টি দোকানে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের খোয়ারপাড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শহরের গৌরীপুর এলাকার মৃত মৌলভী আজাহার আলীর ছেলে ট্রলিচালক মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) ও একই এলাকার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক দোলোয়র হোসেন মিন্টুর ছেলে আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ (২৫)। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্রাবণ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় এলাকার দুই দল কিশোরের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শাপলা চত্বরে কথা কাটাকাটি হয়। একে কেন্দ্র করে রাতে দুই এলাকাবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই এলাকার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই পক্ষে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গৌরীপুর এলাকার ট্রলিচালক মিজানকে খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকার প্রতিপক্ষ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের দুটি দল তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে, গুরুতর আহত শ্রাবণকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে মঙ্গলবার ভোরে তিনিও মারা যান। শ্রাবণ বর্তমানে নৌহাটা মহল্লায় বসবাস করতেন। তিনি শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এদিকে, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সংঘর্ষের এলাকায় টহল দেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও দু’জন নিহতের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আমাদের ফোর্স কাজ করছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।