ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। মহেশপুর আমলী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন আবদুল হক নামে এক মৎস্যজীবী। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন প্রলাদ হালদার,দিপক হালদার,জাহাঙ্গীর আলম স্বপন, ইউনুছ শেখ,ছরোয়ার শেখ,সন্টু মন্ডল,বিপ্লব হোসেন,মন্টু হোসেন,বাছির আলী,রেজাউল ইসলাম, লক্ষন হালদার, জিয়ারত মন্ডল, মাবুদ মন্ডল, ভাদ্র হালদার, ঝন্টু হালদার, শরজিৎ হালদার, কানাই হালদার ও ইকরামুল হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলার সলেমানপুর বাওড় ইজারা পায় সলেমানপুর মৎস্যজীবী সমিতি। ইজারার পর ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চলসহ আসামিরা সভাপতি আবদুল হকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি তাদের ৩ লাখ টাকা দেন। পরের দিন বাওড়ের ৫০০ মণ মাছ, ২টি বেড় জাল ও চারটি নৌকা লুট করে নেন আসামিরা। যে গুলোর বাজার মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৬ লাখ টাকা। চাঁদা না দিলে বাওড়ে যেতে দেননি। প্রভাবশালী হওয়ায় এত দিন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সাহস পাননি ভুক্তভোগীরা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকারিয়া মিলন বলেন, বাওড় ইজারার ঘটনায় চাঁদা দাবির প্রেক্ষিতে আবদুল হক ১৯ জনের নামে মামলা করেছেন সোমবার দুপুরে। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।