চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আর কোন আয়নাঘর থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন নতুন পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘আয়নাঘর’ কারা কেন করেছিলেন তা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে আয়নাঘরে রেখে নির্যাতন করা হতো। পরে মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে তোলা হতো। ওই মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুমের শিকার ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, আমি খবর নিচ্ছি। কোন আয়নাঘর থাকবে না। আইনে যেভাবে আছে সিআরপিসি যেভাবে আছে, আইন অনুযায়ী একজন মানুষকে যেভাবে আটকে রাখা যায়; সেভাবেই হবে। আয়নাঘর কে করেছে আমি জানার চেষ্টা করছি।
পুলিশ সুপার বলেন, ৫ আগস্টের পরে পুলিশে যে স্থবিরতা শুরু হয়েছে আমরা তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আরো পরিবর্তন হবে। তবে এরইমধ্যে পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে। খুব শিগগিরই পুরো দমে কাজ করবে থানা পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি রোধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে পুলিশ। থানা বা পুলিশ স্টেশন কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবে না। তবে পুলিশ সরকারেরই অংশ। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে এটাই স্বাভাবিক।
গত ৮ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন রেজাউল করিম। এরপর বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবুল কালাম সাহিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. নূরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবাবগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা।