পিরোজপুরের কাউখালীতে দিন দিন বৃদ্ধি পাঁচ্ছে চালের দাম, অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ ক্রেতা সহ নিম্ন আয়ের জনগণ। কোথাও কোন প্রতিকারের জায়গা পাঁচ্ছে না তারা। হতাশায় ভুগছে নিম্ন আয়ের মানুষ সহ সাধারণ জনগণ। বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও বাজারে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে চালের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। এদিকে চালের দাম আরো বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে আড়তদাররা। উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ বাজারসহ এলাকার ছোট বড় বাজার ঘুরে জানা গেছে, খুচরা বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি মোটা বুলেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। মিনিকেট ৬৫ টাকা থেকে ৬৮ টাকা, আঠাশ চাল ৬০ টাকা থেকে ৬২ টাকা। মাঝারি মানের বিআর ২৮-২৯ চাল ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মোটা স্বর্ণা ৫৮ টাকা, হাইব্রিড মোটা ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব চালের মূল্য এক মাস আগেও কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত কম ছিল বলে জানান ব্যবসায়ীরা। নতুন ধান আসার আগ পর্যন্ত চালের মূল্য আরো বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীরা। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করলে তারা সাংবাদিকদের জানান, চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টা সমাধান করতে হলে সরকারকে শক্ত হাতে ধান গুদামজাত করা সব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, বিগত সরকারের সিন্ডিকেট এখনোও রয়ে গেছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে বাজারের চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কাউখালী দক্ষিণ বাজারের মেসার্স পলাশ ট্রেডার্স এর মালিক পলাশ সাহা জানান, চালের মোকামে রেট বেশি। মিলের বাজার বৃদ্ধি হওয়ার কারণে পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে প্রকারভেদে চালের দাম ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সংবাদকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, কাগজে কলমে না করে বাস্তবে বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে, তাহলে চাল সহ প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের ভিতরে চলে আসবে। মাহফুজ আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, আগে সরকারের সিন্ডিকেট ভাঙ্গা জরুরি। সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং করে তাদের চিহ্নিত করা উচিত। এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং জোরদার করার চেষ্টা করছি। যদি কোন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে তাহলে ওই সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।