বোলারদের অসাধারন নৈপুন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক জয়ের স্বাদ পেল আফগানিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৪৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। তৃতীয়বারের মত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের সূচনা করলো আফগানরা। টি-টোয়েন্টিতে তিনবারের দেখায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে কোন জয় নেই আফগানিস্তানের। এখনও টেস্ট ফরম্যাটে কোন ম্যাচ খেলেনি দু’দল। শারজাহতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের দুই বোলার ফজলহক ফারুকি ও আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফারের তোপের মুখে পড়ে ১০ ওভারে ৩৬ রানে ৭ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডেতে প্রথম ১০ ওভারে এটিই সর্বনিন্ম স্কোর দক্ষিণ আফ্রিকার। পেসার ফারুকি ও অফ-স্পিনার গাজানফার সমান ৩টি করে উইকেট নেন। ৫০ রানের নীচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেন ওয়াইন মুল্ডার। অষ্টম উইকেটে বির্জন ফরচুনকে নিয়ে ৩৯ এবং নবম উইকেটে নান্দ্রে বার্গারের সাথে ৩০ রানের জুটি গড়েন মুল্ডার। এই জুটির কল্যাণেই ১শ রানের কোটা পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ৩৩.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডেতে এটি নবম ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বনিন্ম রান দক্ষিণ আফ্রিকার। ফরচুন ১৬ ও বার্গার ১ রান করলেও সাত নম্বরে নেমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মুল্ডার। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৪ বলে ৫২ রান করে ফারুকির চতুর্থ শিকার হন মুল্ডার। আফগানিস্তানের ফারুকি ৩৫ রানে ৪টি ও গাজানফার ২০ রানে ৩ উইকেট নেন। শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ২ উইকেট শিকার করেন স্পিনার রশিদ খান। এ ম্যাচে আফগানিস্তানের তৃতীয় পেসার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১শ উইকেট নেন ফারুকি। ১০৭ রানের টার্গেটে প্রথম ওভারে প্রথম এবং ১৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর ৬০ রানে চতুর্থ উইকেট পতন হলেও, পঞ্চম উইকেটে ৪৮ বলে ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৪৪ বল বাকী থাকতে আফগানিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন আজমতুল্লাহ ওমারজাই ও গুলবাদিন নাইব। ওমারজাই ২৫ ও নাইব ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ফরচুন ২২ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ফারুকি। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে আজ একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামবে আফগানিস্তান।