সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবাকে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) আইনপ্রণেতারা। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচিত করেন এলডিপির আইনপ্রণেতারা। জাপানের পার্লামেন্টে এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই দলের নতুন নেতাই হবেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে।
এলডিপির প্রধান কার্যালয় টোকিওয় শুক্রবার নতুন নেতা নির্বাচনে ভোট দেন দলটির আইনপ্রণেতা ও আঞ্চলিক নেতারা। ইশিবার পক্ষে পড়ে ২১৫ ভোট। আর তার প্রতিপক্ষ তাকাইচি পান ১৯৪ ভোট।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দলের তহবিল কেলেঙ্কারি এবং জনপ্রিয়তায় ধসের মুখে গত অগাস্টে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা হিসেবে তিনি পুনর্নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন।
তার সরে যাওয়ার ঘোষণায় এলডিপি পার্টিতে নতুন দলীয় প্রধান ও এর ধারাবাহিকতায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয় তখন থেকেই।
রয়টার্স তখন জানিয়েছিল, সেপ্টেম্বরে এলডিপির নতুন একজন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর কিশিদা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাবেন।
মূলত দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে এলডিপি’র জড়িয়ে পড়া, বাড়তে থাকা জীবনযাত্রা ব্যয় ও ইয়েনের মান পড়ে যাওয়ার মতো কয়েকটি কারণে কিশিদার জনসমর্থন তলনিতে নেমেছে।
গত মে মাসে তার পক্ষে জনসমর্থন নেমে মাত্র ১৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে জাপানে কোনো প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সর্বনিম্ন জনসমর্থন এটি।
তার জায়গায় আসতে চলা নতুন নেতা শিগেরু ইশিবা এর আগে ২০১২ সালেও প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য লড়েছিলেন।
সেবার জাতীয়তাবাদী নেতা শিনজো আবের কাছে তিনি পরাজিত হন। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় জাপানের নেতৃত্ব দেওয়ার পর আততায়ীর হাতে নিহত হন আবে।
ইশিবা দাবি করেছেন, কৃষি খাতের সংস্কারসহ আরও জটিল সামাজিক সমস্যার সমাধান করে তিনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
ইশিবা নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে চীনের কাছ থেকে আসা আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখোমুখি হতে হবে। পাশাপাশি, জাপানের অর্থনীতিতে নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে আনার দুরূহ দায়িত্ব বর্তাবে তার ওপর।