সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা ও দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাওকান্দি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকসহ আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার(২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দুর্গাপুর উপজেলার সুখানদিঘী গ্রামের রাকিবুল ইসলাম এ মামলাটি করেন। এ মামলায় আরো অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা ও বেলপকুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান, জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক দাওকান্দি সরকারি কলেজের অধ্যাপক আবদুল মতিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও দাওকান্দি উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান, জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট মৎস ব্যবসায়ী আবদুল হালিম শাহ সহ অজ্ঞাত ১৫- ২০ জন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২০ মার্চ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাটে সন্ধ্যা ৬ টায় বিএনপি'র তৎকালীন আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার আহ্বানে প্রয়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেন এর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বেশ কিছু লোকজন উপস্থিত হয়। এ সময় ১নং আসামি আবদুল ওয়াদুদ দারার নির্দেশে সকল আসামি লাঠি সোটা, পিস্তল, অগ্নেঅস্ত্রসহ ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে অর্তকিতভাবে ওই মাহফিলে প্রবেশ করে। এবং এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করে। এ সময় ঘটনস্থলে তারা মারাত্মক অগ্নেয়অস্ত্র বিস্ফোরণ করে। সমাবেশে বিশৃংখলা দেখা দেয়। কয়েকজন আসামি হত্যার উদ্দেশ্য রাবার বুলেট ছুড়ে ওই রাবার বুলেটে বাদীর ডান পায়ে লাগে এবং তিনি মারাত্মক আহত হন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৭০ জন সহ অজ্ঞাত আরো ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় মামলা হয়েছিলো। উপজেলার চক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন দুর্গাপুর থানায় মামলাটি করেছিলেন।