ফুলতলায় নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সৌরভ সরকারের লাশ উদ্ধারের দুই দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামি আটক ও হত্যার মোটিভ উদ্ধার করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
পুলিশ জানায়, নিহত সৌরভ সরকারের বাবা ধীমান সরকার বাদি হয়ে শনিবার রাতে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফুলতলা থানায় মামলা (নং-০৯) করেন। মামলায় কারও নাম বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না করলেও অজ্ঞাত সংখ্যক লোক পূব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে লাশ গুম এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, স্বর্নের চেইন, আংটি ও মোবাইল নিয়ে যায়। লাশ উদ্ধারের দুই দিন অতিবাহিত হলেও হত্যা ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক ও লুষ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরী বলেন, তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে ক্লু-লেস এ মামলাটি তদন্ত কাজ চলছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়া, অর্থনৈতিক লেনদেন এবং মাদক সেবন ও কারবারিকে সামনে রেখে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা? এ ঘটনায় পুলিশ গাড়াখোলা গ্রামের ইব্রাহিম শিকদারের পুত্র ভ্যান চালক সবুজ শিকদারকে (২৮) থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহত সৌরভ সরকারের কাকা সুকুমার সরকার বলেন, গাড়াখোলা মাছ বাজার এলাকার আশপাশে কিছু বখাটে মাদক সেবী ও কারবারীদের সাথে তার সখ্যতা ছিল। সে সূত্র ধরে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কি না সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। রোববার ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকালে শিকিরহাট শ্মশানে সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই দিন ধরে নিহতের পরিবারের চলছে শোকের মাতম। তার মা বাবা ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছে। প্রসঙ্গতঃ গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ফুলতলার বেজেরডাঙ্গাস্থ সৌরভ জুয়েলার্স থেকে মোটরসাইকেল যোগে বেরিয়ে আর ফেরেনি। এ ব্যাপারে তার বাবা ধীমান সরকার ফুলতলা থানায় একটি জিডি (১১৯১) এন্ট্রি করেন। ঘটনার ৪দিন পর পুলিশ শনিবার দুপুরে বেনেপুকুর এলাকার তবিবুর রহমান শেখের ঘেরের পাড় থেকে বিকৃত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে।