কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা করেছে নিহতের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের ছেলে কাকন হোসেন বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুর রহমান। তবে মামলার তদন্তের সার্থে আর কোন তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে রাজি হননি তিনি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের দেখায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে গতো সোমবার রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি। এ সময় মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, প্রাথমিক ভাবে নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে শটগানের গুলি দিয়ে মারা হয়েছে। আরও তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। নিহত সেন্টু ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মৃত মতলেব সরকারের ছেলে।একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন সেসময় তিনি উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ কা ম সরোয়ার জাহানের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে ৷ পরে বিএনপির বাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান বলে জানা গেছে। এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে মরদেহ নিজ বাসভবন ফিলিপনগরে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু, নিহতের ছোট ভাই আরমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু ফিলিপনগর এলাকার মৃত মতলেব সরকারের ছেলে। উল্লেখ্য, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন সেন্টু। ঘটনার পর চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে র্যাব, বিজিবি ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সহযোগিতায় বেলা ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।