সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা উপলক্ষে নাসিরনগরে ১২৭টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। কাঁশফোটা শরতের শারদীয় এ দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতে মন্দিরগুলোতে ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে উপজেলার গ্রাম,পাড়া,মহল্লার হিন্দুপাড়া গুলোতে আগাম শারদীয় উৎসবের আমেদ লক্ষ্য করা গেছে। উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এক্ত্র করে মহাসম্মিলন ঘটনো হয় বলে এ পূজাকে বলা হয় সার্বজনীন পূজা। আর শরৎকালে হয় বলে বলা হয় শারদীয় উৎসব। আর দূর্গাপূজাকে ঘিরে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২৭টি মন্ডপের পূজা উদযাপন কমিটি ব্যস্ত সময় পার করছে। দেবীকে স্বাগত জানাতে সবর্ত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।হিন্দু সম্প্রদায়ের আবাল,বৃদ্ধা-বনিতা,নারী,পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ এ সর্ববৃহৎ শারদীয় উৎসবকে সার্থক করতে প্রহর গুনছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নে ১৯টি,চাতলপাড় ইউনিয়নে ৩টি, ভলাকুট ইউনিয়নে ১৯টি, কুন্ডা ইউনিয়নে ১৬টি, গোয়ালনগর ইউনিয়নে ৬টি,বুড়িশ্বর ইউনিয়নে ১৬টি,ফান্দাউক ইউনিয়নে ১৩টি,গুনিয়াউক ইউনিয়নে ৫টি,চাপরতলা ইউনিয়নে ৬টি,গোর্কণ ইউনিয়নে ১৩টি,পূর্বভাগ ইউনিয়নে ৬টি, হরিপুর ইউনিয়নে ৫টি ও ধরমন্ডল ইউনিয়নে ১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর এ উপজেলায় ১৪৭ মন্ডপে পূজা হলেও আথিক সংকটের কারণে ২০ টি পুজা মন্ডপ কমে এ বছর ১২৭টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি অনাথ বন্ধু দাস জানান,এবার ১২৭টি মল্ডপে পূজা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আথিক সংকটের কারণে গত বছরের চেয়ে এবছর ২০টি পূজা মন্ডল কমেছে। নাসিরনগর সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতির উপজেলা। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে হিন্দু-মুসলমানেরা সম্প্রীতি বজায় রেখে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটবে না বলে তিনি দাবি করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল কাদের জানান,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গাপূজা সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হযেছে নানা পদেক্ষেপ। প্রতিটি পূজার মল্ডপে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নেয়া হচ্ছে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা। কোন রকম বিশৃংখলা যাতে না হয় সে ব্যাপারে আইন-শৃংখলা বাহিনী সর্তক রয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া জানান, উপজেলার ১২৭টি মল্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসব পালন করা হবে এবং শান্তি -শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনিকভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে।