গতকাল রাত্রে ওরা আসানসোলে এসেছে। বাবার অফিসের কী কাজ আছে। মা’র অফিসেও এমার্জেন্সি। ফলে সে একাই এসেছে বাবার সঙ্গে। যখন অফিসের কাজে আসানসোল যাবার কথা উঠল, সুজাতা বলেছিল,- হোটেলে উঠব না। চলো না রাঙাকাকার নতুন...
পরীক্ষা শেষ। এবার দুই মাস ছুটি। বাড়ি ফিরেই বন্ধুদের খোঁজ নিল সে। রিমির ফোন বন্ধ। মনে হয় ঘুমাচ্ছে। ফাইয়াজও ধরল না। শেষে মুকুলকেই ফোন করল জিনিয়া। ওপাশ থেকে ফোনটা ধরলেন ওর বোনÑহ্যালো।Ñআপা, আমি জিনিয়া। মুকুল...
কান্তা কত কষ্ট পেয়েছিল আমি জানি না। বেশ কয়েকদিন কান্তাও নিরুদ্দেশ। পান্তুর মৃত্যুর সপ্তাহ দুয়েক পর কান্তা এসেছিল। সময়টাকে এমন লম্বা মনে হয়েছিল। বড় বড় ভাসা ভাসা চোখের নিচে কালি। এমন দুর্দান্ত একটা প্রেমিকা রেখে...
রমজান মাস শেষেঈদ এসেছে ফিরে,খুশী আজ বিশ্ব জুড়েআনন্দ সব ঘরে ঘরে। আত্মীয়-স্বজন মহা আয়োজননতুন জামা-জুতো কেনা,এসেছে শাওয়ালের চাঁদ সোনাআকালের কালে ঈদ জমে না। ধনী-গরীব সবাই মিলেঈদ উৎসব পালন করে,প্রত্যেকে প্রত্যেকের দ্বারেবরণ করে নেয় তারে। কোলাকুলি মিষ্টিমধুর বুলিপিতা মাতাকে...
“ও পরাণ, পরাণ, দুইডা খাইয়া যা।”পরাণের মা শশীবালা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে, ডাকতে থাকে। আম কাঁঠালের নরম ছায়ায় ঢাকা গ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। চৈত্রের তাপে মাটিতে টান। নামেই নদী, গরু মহিষ অনায়াসে হেঁটে পার...
ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ পড়তেই মনে মনে আবার হিসেবটা করে নেয় চন্দ্রানী। আজ থেকে ঠিক দেড় মাস আগে নিয়মিত শারীরিক ঋতু পরিবর্তনের হঠাৎ বেনিয়ম হওয়ায় খুব স্বাভাবিক উৎকণ্ঠা এবং একরাশ বুক ধুকপুকুনি নিয়ে ড. চ্যাটার্জির কাছে...
এক.একটি জাতির হাজার বছরেরকি ভীষণ উত্তেজনা আরঅধীর অপেক্ষা। হাজার বছরের বাংলাআর বাঙালির ইতিহাসে কত নেতা এলকত কবি এল! কিন্তু কোন নেতাকোন কবি বাঙালির সেইকাক্সিক্ষত ঘোষণা দিতে পারলনা।বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসশোষন নিপীড়ন নির্যাতনআর বঞ্চনার ইতিহাস। বুকেরতাজা...
একমাসের ছেলেকে কোলে নিয়েই হাসপাতালের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে রুমকি। ছেলেটা এক্কেবারে কান্না থামাচ্ছে না। খানিক আগেই বুকের দুধ খাওয়াল। নিজের শরীরটাও এখনো সারেনি। সেই কখন থেকে একভাবে বসে আছে। পায়ে...
শামসুল আলম সাহেব ট্রেনের কামরায় ওঠা মাত্রই ট্রেন ছেড়ে দিল। কামরা ফাঁকা। সব মিলিয়ে দশজন যাত্রীও নেই। থাকবে কেমন করে? পুরো সপ্তাহ জুড়ে চলছে লাগাতার হরতাল-অবরোধ। বাস, ট্রাক, গাড়ি ভয়ে রাস্তায় নামছে না। বড় সড়কে...
এক ছিল অহংকারী খরগোশ। দেখতে বেশ নাদুস-নুদুস। কচি কচি মুলো খেত। বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াত। আর ধেইধেই করে নেচে নেচে গান গাইত। লাফিয়ে লাফিয়ে খুব বেগে ছুটতে পারত সে। তাই তার মনে ভারি অহংকার। অন্য খরগোশদের...