সাউথ আফ্রিকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যুবক সঞ্জিত রায় (৩৮) নিহত হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সঞ্জিতকে মৃত ঘোষণা করে। সঞ্জিত এক বাংলাদেশী মালিকের দোকানে কাজ করতো। চার বছর আগে সে জীবিকার সন্ধানে সাউথ আফ্রিকায় যায়। লৌহজং উপজেলার নাগেরহাট গ্রামের প্রয়াত মোহনবাশী রায়ের ছেলে সঞ্জিত। সে বিবাহিত, তার ৮ বছরের একটি ছেলে আছে। শুক্রবার বিকেলে সঞ্জিতের বাড়িতে গেলে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর আর্তনাদ দেখা গেছে।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, সঞ্জিতের লাশ দেশে আনা হবে না। কারণ, সাউথ আফ্রিকা থেকে লাশ আনা ব্যয়বহুল, যা সনজিতের পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া সাউথ আফ্রিকা থেকে মরদেহ ভালোমতো সংরক্ষণ করে পাঠানো হয় না। এর আগে সাউথ আফ্রিকা থেকে নিহত কয়েকজনের লাশ অরক্ষিত ও দুর্গন্ধভাবে দেশে এসেছে বলে কয়েকজন জানান।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান শুক্রবার নিহতের বাড়ীতে গিয়ে পরিবারের খোঁজ খবর নেন ও সমবেদনা জানান। তিনি নিহতের পরিবারকে আরও জানান, নিহত ব্যাক্তি যদি বৈধ ভাবে সাউথ আফ্রিকা গিয়ে থাকেন তাহলে তার লাশ বাংলাদেশে আনার জন্য সরকারী ভাবে যে ধরনের সহযোগীতা করা প্রয়োজন তার সব টুকু ব্যবস্থা আমার পক্ষ থেকে আমি করবো। এছাড়াও আর কোন সাহয্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন আমি চেষ্টা করবো তা পুরন করার জন্য।