দুমকিতে যত্রতত্র অবস্থায় পেট্রোল ও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের বিক্রি

এফএনএস (জাকির হোসেন হাওলাদার; দুমকি, পটুয়াখালী) : : | প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ০৫:১৮ এএম

পটুয়াখালীর দুমকিতে বিভিন্ন হাট বাজারে যত্রতত্র লাইসেন্স বিহীন অবস্থায় পেট্রোল ও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা কেনাবেচা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক এই বিষয়টি কোনোভাবেই আমলে নিচ্ছে না পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন ধরনের মালপত্রের ব্যবসার সঙ্গে পেট্রোল ও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার যেন তেন ভাবে রেখেছে তা বিক্রি করছেন। সরকারী নিয়ম নীতি থাকলেও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা তা আমলে নিচ্ছে না। জানা যায়, পেট্রোল ও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিস্ফোরক লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি পত্র,মজুদের জন্য পাকা গোডাউন, এছাড়া লে-আউট নকশা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছেন না এসব ব্যবসায়ীরা। বিস্ফোরক লাইসেন্স অনুযায়ী একজন ডিলারের ৪০ থেকে ৬০ টি সিলিন্ডার গ্যাস মজুদ রাখার অনুমতি থাকলেও কৌশলে বিভিন্ন স্থানে দোকানদাররা শত শত গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রাখছেন। আবার অনুমোদিত একটি কোম্পানির সিলিন্ডার রাখার নিয়ম থাকলেও তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের সিলিন্ডার রেখে তা পাইকারী ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার তালতলী বাজারে মনোয়োরা ফার্মেসিতে ঔষধের সাথে পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার পাশেই প্লাস্টিকের দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার বোর্ড অফিস বাজারে আবির টেলিকম এন্ড মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ও উপজেলার পিরতলা বাজার, মুন্সিরহাট, রাজাখালী, লেবুখালী ফেরিঘাট, ইউনিভার্সিটি স্কয়ার, মৌকরন বাজার, আঙারিয়া বন্দর এবং বিভিন্ন অলিগলিতে বিভিন্ন ধরনের মাল পত্রের ব্যবসার সঙ্গে পেট্রোল ও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকানে ফায়ার ফাইটিং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকা বাধ্যবাধকতা থাকলেও বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপকের কোন ব্যবস্থা নেই। আবার থাকলেও তা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আছে এমন কোন ব্যক্তি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া দুমকিতে ফায়ার স্টেশন না থাকায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তা ছাড়া এসব দোকানে বাজারদর ছাড়াও ৫০ থেকে ১শ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারীরা জানান, হাতের নাগালে গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়াতে বেশি দাম হওয়া সত্ত্বেও তা কিনতে হচ্ছে। পেট্রোল বিক্রেতা বেল্লাল হোসেন জানান, অনেক টাকা খরচ করে লাইসেন্স করেছি বিনা লাইসেন্স কারীর কাছে নিরুপায় হয়ে পড়েছি, বিনা লাইসেন্স কারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না। দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোল এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি কারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, সেরকম কোনো অভিযোগ আসলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW