ঈদগাঁওর পোকখালীতে সাজ্জাদ নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল আলম নামের একজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। নিহত সাজ্জাদুর রহমান প্রকাশ বান্ডি ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতজোলা কাটা এলাকার নুরুল হুদার ছেলে। আটক আবদুল আলম পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালীর আবদুস সালামের ছেলে।
জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনার জেরে ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে সাজ্জাদকে তুলে নিয়ে উঠানের নারকেল গাছের সাথে বেঁধে উপুর্যপুরী মারধর করে আবদুল আলম ও তার বাবা। পরে তারা সাজ্জাদকে ছেড়ে দেয়। ঘটনার পরের দিন যন্ত্রণায় কাতঁরাতে থাকলে পরিবারের সদস্যরা ২৫ শে সেপ্টেম্বর বিকেলে ঈদগাঁওর একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নির্যাতনে জড়িত আলমকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশে খবর দেয়। ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিমের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবদুল আলমকে আটক করে। বোয়ালখালীর সাহাব উদ্দিন জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে স্থানীয় চুরম্মামুরাস্থ জানাযা মাঠে বিকেলে সাজ্জাদের জানাযাও অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় মেম্বার ওমর আলী ঝগড়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে কিশোর সাজ্জাদকে পিটিয়ে হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিম জানান, সংগঠিত ঘটনায় আজ থানায় এজাহার দিয়েছে নিহত শিশুর পিতা নুরুল হুদা। এতে আটক যুবকের পরিবারের চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আটক আলমকে চালান দেয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হালিম আরো জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকে সাজ্জাদকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ শুনেছেন। নির্যাতনে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডাক্তার দেখানো হয়। তবে তার মধ্যে অন্য কোন রোগের আলামত পাওয়া যায়নি। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে বুঝা যাবে।