জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা তো বহু লোককে চিঠি দিয়েছি, বহু দেশকে চিঠি দিয়েছি। অবশ্যই দিয়েছি। এটা তো অস্বীকার করিনি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এর আগে ৩১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম চিঠি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। তখন তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। কাল হয়ত বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে বলবে এই চিঠি সত্য নয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, দেশের চলমান যে শাসন ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে, দুর্নীতি-লুটপাট করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের গুম করছে, খুন করছে, প্রতিমুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এগুলা আমরা সারা পৃথিবীকে জানিয়েছি। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যখনই কর্মসূচি দিচ্ছি তখন একই সময় তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে সেটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাস করছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্ত্রাস আন্দোলনকে দমনের জন্য চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদে ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি। বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয় আসনের উপণ্ডনির্বাচনের বিষয়ে ফখরুল বলেন, গতকালকে (গত বুধবার) তারা যে তথাকথিত নির্বাচন করলো, এই নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার তাদের হিসাব অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আমাদের হিসাব মত এটা ৫ শতাংশের বেশি না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম এ জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর শরাফত আলী সপু রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হক প্রমুখ।