ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে ২৪ শতাংশ মৃত্যুর হার বেড়ে যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এফএনএস: : | প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৪:১৩ এএম

ভিটামিন ‘এ’র অভাবে ২৪ শতাংশ মৃত্যুর হার বেড়ে যায় উল্লেখ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, পুষ্টির অভাবে শিশুরা খর্বাকৃতির হয়। আমাদের দেশে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতির ছিল, সেটা এখন অনেক কমে গেছে। ভিটামিন ‘এ’র অভাবে শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। যেমন হাম, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। এতে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকিও বেড়ে যায়। সোমবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোসাল মেডিসিন (নিমসম) অডিটোরিয়াম জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সোমবার দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে। ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ, ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখসহ মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১৯৭৪ সাল থেকে দেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আয়োজন শুরু হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তখন দেশে রাতকানা রোগীর সংখ্যা ছিল চার শতাংশের বেশি। তখন অনেক ছেলে-মেয়েদের রাতকানা রোগী হিসেবে দেখা যেত। তখন অনেক শিশু পোলিও ও আক্রান্ত হতো। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে রাতকানা রোগ নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই শিশুরা ভালোভাবে বেড়ে উঠুক, দেশের সুনাগরিক হোক। সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সোনার মানুষ দরকার, সোনার শিশু দরকার। শিশুরা এ দেশের ভবিষ্যৎ, তারাই দেশ পরিচালিত করবে। শিশুদের খাদ্য পুষ্টি এবং ভিটামিন ‘এ’র অভাব হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে একটি হচ্ছে রাতকানা রোগ, দৈহিক এবং মানসিকভাবেও তারা বেড়ে উঠতে পারে না। তাদের লেখা পড়ায় মনোযোগ কম হয়। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে শিশুদের ভরা পেটে নিয়ে আসতে হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে এখনো গুজব রটানো বন্ধ নেই। পূর্বে এ খবর ছড়িয়েছিল যেমন ভিটিমিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খালি পেটে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেলে একটু ভমি হতে পারে। এজন্য অসুস্থতার কথা আবারও গুজব হয়ে যাতে ছড়াতে না পারে এবং সুন্দরভাবে সবাই এ ক্যাপসুল নিতে পারে এজন্য এটির প্রচার করতে হবে। মানুষের শরীরে বর্তমানে ভিটামিন ডি এর স্বল্পতা দেখা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর কারণে নানা রকম অসুস্থতায় ভুগছেন মানুষ। জীবনযাত্রার কারণে মানুষের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ এর স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। খাবারে সমস্যা। সূর্যের আলো বিহীন থাকা এর একটা বড় কারণ। অনেকেই এসি ঘরে থাকেন, বের হলে এসি গাড়িতেই যান। এ সমস্যার কারণে যদি কোনো সময় ভিটামিন ‘ডি’ ক্যাপসুল দেওয়া লাগে সেটাও দিতে হবে। যদিও এটি নিজের জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি রোধ করা সম্ভব। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া প্রমুখ। 

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW