রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ ইউক্রেইনের ২৬২ অ্যাথলেটের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং ৩৬৩টি ক্রীড়া স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেইনের ক্রীড়ামন্ত্রী ভাদিম হাটসেইট। ইউক্রেইন সফররত আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টে মোরিনারি ওয়াতানাবের সঙ্গে বৈঠকে শনিবার তিনি অলিম্পিকসহ সব ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রুশ অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। “রুশ অ্যাথলেটরা এই যুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে, যুদ্ধের সমর্থনে হওয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে,” বৈঠকে হাটসেইট এমনটাই বলেছেন বলে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওয়েবসাইটে দেওয়া প্রতিলিপিতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় স্বতন্ত্র হিসেবে বা ‘নিরপেক্ষ পতাকা’ নিয়ে রুশ ও বেলারুশের অ্যাথলেটদেরকে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে সুপারিশ করেছে। তবে তাদেরকে ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নিতে দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রতিযোগিতার কোনো পর্যায়ে রাশিয়ানদের সঙ্গে লড়তে হলে ইউক্রেইন ২০২৪ অলিম্পিকের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে তাদের অ্যাথলেটদের অংশ গ্রহণের অনুমতি দেবে না বলে গত শুক্রবার জানিয়েছে কিইভ। আইওসি এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিহত অ্যাথলেট বা ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার সংখ্যা নিয়ে ইউক্রেইনের ভাষ্য রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি। তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরু করার পর ইউক্রেইনের জাতীয় পর্যায়ের একাধিক অ্যাথলেট স্বেচ্ছায় দেশের হয়ে অস্ত্র হাতে নিয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নিহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এ বছর যে অ্যাথলেটদের মারা যাওয়ার খবর মিলেছে তাদের মধ্যে আছে ফিগার স্কেটার দিমিত্র শার্পার ও ২২ বছর বয়সী ডেকাথলন চ্যাম্পিয়ন ভলোদিমির আন্দ্রোশ্চুক। শার্পার বাখমুতের কাছে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন; আর আন্দ্রোশ্চুক অলিম্পিকে পদক জেতার মতো সম্ভাবনাময়ী অ্যাথলেট ছিল, বলছে রয়টার্স। আন্দ্রোশ্চুকও বাখমুত শহরের কাছে যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে।